মিউচুয়াল ফান্ডের লগ্নির ধরনে এসেছে বড় বদল। নিফটি-৫০ এবং সূচক তহবিলের পাশাপাশি এক্সচেঞ্জ ট্রেডিং ফান্ড বা ইটিএফের প্রতি দিন দিন বিনিয়োগকারীদের বাড়ছে আগ্রহ। এ ছাড়া নিষ্ক্রিয় লগ্নির (পড়ুন প্যাসিভ ইনভেস্টমেন্ট) দিকেও ঝুঁকতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের। এতে কতটা লাভবান হবেন তাঁরা? বিনিয়োগ করা অর্থের কী পরিমাণে বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে? আনন্দবাজার ডট কমের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা অ্যাম্ফির (অ্যাসোসিয়েশন অফ মিউচুয়াল ফান্ডস ইন ইন্ডিয়া) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসে প্যাসিভ তহবিলগুলির ব্যবস্থাপনাধীন সম্পদ বা এইউএম (অ্যাসেট্স আন্ডার ম্যানেজমেন্ট) ১২.১১ লক্ষ কোটিতে পৌঁছেছে। গত বছরের মে মাসে এটি ছিল ৯.৭ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের নিরিখে এতে ২৫ শতাংশের বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, মিউচুয়াল ফান্ডের মোট এএমইউর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭২.১৮ লক্ষ কোটি টাকা। এর ১৬.৭৮ শতাংশ দখল করে রয়েছে প্যাসিভ তহবিল। নিফটি ৫০-এর ইটিএফের ক্ষেত্রে মোট এইউএমের অঙ্ক গত বছরের মার্চে ছিল ২.৭৮ লক্ষ কোটি টাকা। সেটাই এ বছরের জুনে বেড়ে ৩.৭৬ লক্ষ কোটিতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে অ্যাম্ফি। অর্থাৎ এই খাতে ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে।
এর নেপথ্যে সুনির্দিষ্ট কিছু কারণের কথা বলেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের দাবি, ‘‘লগ্নিকারীরা প্যাসিভ বিনিয়োগের সুবিধা বুঝতে পেরেছেন। সক্রিয় ভাবে পরিচালিত লার্জ-ক্যাপ ফান্ডগুলির সূচক কিছু ক্ষেত্রে নিম্নমুখী হতে দেখা গিয়েছে। আর তাই লগ্নির ক্ষেত্রে অবস্থান বদলের প্রবণতা ধরা পড়ছে।’’
ব্রোকারেজ ফার্মগুলি জানিয়েছে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে এ বছরের মে পর্যন্ত সক্রিয় লার্জ ক্যাপ ফান্ডগুলিতে এইউএমের পরিমাণ ৩.৪ গুণ বৃদ্ধি পেতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, নিফটি-৫০ এবং সেনসেক্সের মতো সূচকের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে প্যাসিভ লার্জ-ক্যাপ প্রকল্পগুলিতে এই সময়সীমার মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.৪ গুণ। লগ্নিকারীদের প্যাসিভ তহবিলে বিনিয়োগের এটা অন্যতম বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই সংশ্লিষ্ট তহবিলে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)