জাপানের কনসাল জেনারেল নাকাগাওয়া কোইচি। ছবি: সংগৃহীত।
লগ্নি টানতে রাজ্যের ভাবমূর্তির গেরো দীর্ঘ দিনের। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার তাদের আমলে পরিবর্তনের দাবি করলেও, বদলের বার্তা দেশ-বিদেশে লগ্নিকারীদের কাছে ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে কি না তা নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে। এ বার সংশয়ের সুর কলকাতায় জাপানের কনসাল জেনারেল নাকাগাওয়া কোইচির বক্তব্যে। লগ্নি টানতে রাজ্যের অবস্থা নিয়ে দেশের বাইরে প্রচার চালানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। স্পষ্ট বলেন, হাতে গোনা কিছু জাপানি সংস্থাই শুধু এ রাজ্যে লগ্নির সহায়ক পরিবেশ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।
ভারত-জাপানের মধ্যে আর্থিক সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে বৃহস্পতিবার মার্চেন্ট চেম্বারের সভায় দু’দেশের বাণিজ্যিক-সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ব্যাখ্যা করেন নাকাগাওয়া। পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে জাপানের বেসরকারি লগ্নির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পে সরকারি আর্থিক সহায়তার উদাহরণও দেন। সেই প্রসঙ্গেই জানান, দেশে ১৪৩৯টি নথিভুক্ত জাপানি সংস্থা আছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ২৭টি। এ রাজ্যে তাদের অস্তিত্ব যে কম সে কথা মেনে নিয়ে তাঁর ইঙ্গিত, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশাপাশি উন্নত সামাজিক পরিকাঠামোর জন্য অন্যান্য রাজ্যে জাপানি সংস্থা বেশি। তাই পশ্চিমবঙ্গের সরকার ও শিল্পকে সচেতনতা বাড়াতে, বিশেষত জাপানি সংস্থাগুলির কাছে পৌঁছনোর বার্তা দেন তিনি। বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত, সড়ক-বন্দর (তাজপুরের গভীর সমুদ্র বন্দর)-সহপরিকাঠামো তৈরি হয়েছে, ধর্মঘটে শ্রম দিবস নষ্ট হয় না— যা লগ্নির সহায়ক। মার্চেন্ট প্রেসিডেন্ট ঋষভ কোঠারিরও দাবি, রাজ্যের নেতিবাচক ভাবমূর্তি বদলেছে। তাঁরা সেই ছবি তুলে ধরতে সচেষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy