চলতি বছরের জানুয়ারি-জুলাইয়ে কলকাতা শহরাঞ্চলে আবাসনের বিক্রি ও তার নথিভুক্তি বেড়েছে ৪১%। এই ক্ষেত্রের উপদেষ্টা নাইট ফ্র্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, এই সময়ে ৩৫,২৪৪টি আবাসন নথিভুক্ত হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সাম্প্রতিক সময়ে সামগ্রিক আবাসনের মধ্যে ছোট বাড়ি-ফ্ল্যাটের অংশীদারি বেড়েছে অনেকটা।
রিপোর্টে প্রকাশ, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে বৃহত্তর কলকাতায় বিক্রি হওয়া আবাসনের মধ্যে ২৭% ছিল ৫০০ বর্গফুট বা তার কম আয়তনের। সংখ্যার হিসাবে ১০৮৬। আর ৫০০-১০০০ বর্গফুটের অংশীদারি ছিল ৫১% (প্রায় ২১০০)। সেখানে এ বছর জুলাইয়ে ৫০০ বর্গফুটের অংশীদারি বেড়ে হয়েছে ৫৪% (প্রায় ২৫০০)। আর ৫০০-১০০০ বর্গফুটের নেমেছে ৪২ শতাংশে (প্রায় ২০০০)। মানুষ সবচেয়ে বেশি বাড়ি কিনেছেন নিউ টাউন ও খড়দহে।
সারা দেশে যখন দামি আবাসনের চাহিদা বাড়ছে, তখন এই প্রবণতা তাৎপর্যপূর্ণ। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, মানুষের হাতে যথেষ্ট টাকা না থাকা এর বড় কারণ হতে পারে। নাইট ফ্র্যাঙ্কের চেয়ারম্যান শিশির বৈজলের কথায়, ‘‘দেশের অন্য বড় শহরগুলিতে চাহিদা বেশি বড় আয়তনের আবাসনের। কিন্তু কলকাতায় পরিস্থিতি আলাদা। এখানে ৫০০ বর্গফুটের কম আয়তনের আবাসনের চাহিদা মাত্র দু’বছরে দ্বিগুণ হয়েছে। এই প্রবণতা অবাক করার মতো।’’ শহরের এক নির্মাণ সংস্থার কর্ণধারের বক্তব্য, ‘‘এই শহরে আবাসনের গড় দাম কম। কিন্তু মানুষ যে ছোট আবাসন কিনছেন এমনটা নয়। ছোটর চেয়ে বিলাসবহুল আবাসনের বৃদ্ধির হার এখানে দ্রুত। এই রিপোর্ট অবাক করার মতো।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)