—ফাইল চিত্র।
নতুন অর্থবর্ষের প্রথম দিনেই নজির গড়ল শেয়ার বাজার। সোমবার এই প্রথম ৩৯ হাজারের মাইলফলক ছুঁল সেনসেক্স। সকালের দিকে এক সময়ে তা পৌঁছে যায় ৩৯,১১৫.৫৭ অঙ্কে। পরে অবশ্য মুনাফার টাকা তোলার জন্য শেয়ার বিক্রির জেরে কিছুটা নেমে এসে সূচক দিন শেষ করে ৩৮,৮৭১.৮৭ অঙ্কে। সারা দিনের উত্থান ১৯৮.৯৬ পয়েন্ট। এ দিন রেকর্ডের থেকে আর মাত্র কিছু পয়েন্ট দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে নিফ্টিও।
ডলারের সাপেক্ষে তলানিতে ঠেকা টাকার দাম ও চড়া তেলের দর ঘিরে গত অর্থবর্ষের প্রথমে অনেকটা সময় অনিশ্চয়তা ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে হুমকি নিয়েও দোটানায় ছিল বাজার। কিন্তু তার মধ্যেও বিশেষ করে সংস্থাগুলির ভাল আর্থিক ফলে ভর করে সুযোগ পেলেই উঠেছিল সূচক। ২৮ অগস্ট সেনসেক্স পৌঁছেছিল রেকর্ড ৩৮,৮৯৬ অঙ্কে। তার পরে আইএল অ্যান্ড এফএস কাণ্ড, আকাশছোঁয়া তেলের দরের জের কাটিয়ে রেকর্ডের কাছাকাছি পৌঁছে গত অর্থবর্ষ শেষ করেছিল শেয়ার বাজার। শুক্রবার সেনসেক্স ছিল ৩৮,৬৭২.৯১ অঙ্কে।
আর সোমবার সকালে বাজার খোলার পরেই দৌড় শুরু করে বাজার। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, এই বছরে সূচকের গতি মূলত স্থির হবে লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে। তবে তার আগে বৃহস্পতিবারই এই অর্থবর্ষের প্রথম ঋণনীতি ঘোষণা করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সকলেরই নজর শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেব্রুয়ারির পরে এ বারও ফের সুদ কমায় কি না, তার দিকে। অনেকের আশা, নির্বাচনের আগে এ বারও তা কমবে ২৫ বেসিস পয়েন্ট। আর তা হলে বাজারে গতি আসবে।
এর সঙ্গেই বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন-চিন সদর্থক আলোচনা, চিনের উৎপাদন শিল্পে গতি ফেরার ইঙ্গিতও সোমবার ভারত-সহ বিশ্ব বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। খোলার পরে বেড়েছে মার্কিন শেয়ার বাজারও। তবে এর মধ্যে চিন্তার বিষয় হল আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমশ বাড়ছে অশোধিত তেলের দাম। তা প্রায় পৌঁছে গিয়েছে ব্যারেলে ৬৯ ডলারের দোরগোড়ায়। এই ধারা বজায় থাকলে বাজারের উপর চাপ পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
যদিও এতে বিচলিত নয় বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। গত কয়েক মাস ধরেই তারা টানা টাকা ঢেলে চলেছে শেয়ার বাজারে। সোমবার তারা শেয়ার কিনেছে ৮৯৮.৭৯ কোটি টাকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy