ছবি: পিটিআই।
ধুঁকছে চাহিদা। দুর্বল বিক্রিবাটা। ঝিমিয়ে অর্থনীতি। তারই মধ্যে বহাল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান অর্থমন্ত্রীর চাপান-উতোর। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পথ না খুঁজে সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে বিরোধীদের দোষারোপে মশগুল বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেছিলেন মনমোহন সিংহ। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পাল্টা জবাব, ‘‘অর্থনীতি নিয়ে কিছুই স্পষ্ট জানানো হচ্ছে না বলে যেহেতু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাই বিষয়টি ভাল ভাবে বুঝতে নির্দিষ্ট একটি সময়ে কখন, কী ভুল হয়েছিল তা স্মরণ করা জরুরি।’’
ইঙ্গিত সেই মনমোহন ও প্রাক্তন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর রঘুরাম রাজনের জমানার দিকেই। যে জুটির আমলে ব্যাঙ্কিং শিল্পের সব চেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন তিনি। সেই সূত্র ধরে নির্মলা এ দিনও বলেন, তিনি কাউকে দোষ দিতে চান না। কারণ, এটা স্পষ্ট ব্যাঙ্কগুলিতে কখন অনিয়ম হয়েছিল, কোন আমলে। আর কোন সরকারই বা এখন সেই পাঁক পরিষ্কার করছে এবং ব্যবস্থা নিচ্ছে আর্থিক নয়ছয় করে দেশ থেকে পালানো প্রতারকদের বিরুদ্ধে।
আইএমএফ ও বিশ্বব্যাঙ্কের বার্ষিক বৈঠকের আগে ওয়াশিংটন থেকে অর্থমন্ত্রী অবশ্য এটা মেনেছেন, বৃদ্ধির হার আরও বেশি হলে ভাল হত। ভারত এখনও বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধির অর্থনীতিগুলির মধ্যে অন্যতম জানিয়ে তাঁর বার্তা, এই হার আরও বাড়াতে চেষ্টার কসুর করবেন না তিনি। তবে অর্থনীতির বর্তমান সঙ্কটের প্রসঙ্গে পুরনো অবস্থান থেকে সামান্য সরতে দেখা গিয়েছে নির্মলাকে। কেন্দ্র বারবার বলে থাকে, এই ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়মে ওঠানামার চক্র। কাঠামোগত নয়। তবে নির্মলা এই দফায় বলেছেন, ‘‘এই দু’টিই সঙ্কটের কারণ হতে পারে, না-ও পারে। আংশিক ভাবে একটি হতে পারে বা আংশিক ভাবে অন্যটি।... তবে এখন এর মধ্যে যাচ্ছি না।’’
নির্মলা বলেছেন, দেশের অর্থনীতি ৫ লক্ষ কোটি ডলারের হওয়া সম্ভব ব্যাঙ্ক থেকে ফোনে ধার দেওয়া হয় না বলে। ইউপিএ জমানায় যে দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy