Advertisement
E-Paper

সুইস ব্যাঙ্কে কলকাতার অ্যাকাউন্ট, নেই দাবিদার

সুইস সরকার সূত্রের খবর, ১৯৫৫ বা তারও আগে থেকে যে সব অ্যাকাউন্টের কোনও দাবিদার নেই ও যেখানে অন্তত ৫০০ সুইস ফ্রাঁ রয়েছে, সেগুলির তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে ২০১৫ সাল থেকে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৯ ০২:০৬
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

৬০ বছরের পুরনো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ইতিমধ্যেই নিষ্ক্রিয়। সুইৎজারল্যান্ডের সরকার চাইছে, অ্যাকাউন্টের মালিক বা তাঁর ওয়ারিশ উপযুক্ত প্রমাণ দাখিল করে আমানত দাবি করুন। ২০১৫ সাল থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হলেও ভারতীয়দের এমন অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে দাবিদার মেলেনি এখনও। ফলে কোনও কোনও অ্যাকাউন্টের আমানত ডিসেম্বরের মধ্যেই চলে যাবে সুইস সরকারের হাতে। কয়েকটির ক্ষেত্রে তা পরের বছর। এগুলির মধ্যে অন্তত দু’টির মালিক কলকাতার। আছে মুম্বই, দেহরাদূন, এমনকি অনাবাসী ভারতীয়দের অ্যাকাউন্টও।

সুইস সরকার সূত্রের খবর, ১৯৫৫ বা তারও আগে থেকে যে সব অ্যাকাউন্টের কোনও দাবিদার নেই ও যেখানে অন্তত ৫০০ সুইস ফ্রাঁ রয়েছে, সেগুলির তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে ২০১৫ সাল থেকে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ২৬০০ অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। আমানতের মোট অঙ্ক ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। পরবর্তী চার বছরে অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩৫০০। এগুলির মধ্যে ১০টি ভারতীয়দের। এর মধ্যে অ্যাকাউন্ট হোল্ডার হিসেবে নাম রয়েছে লীলা তালুকদার ও প্রমথ এন তালুকদারের। নাম আছে চন্দ্রলতা প্রাণলাল পটেল, মোহন লাল ও কিশোর লালের। কিন্তু আমানত চেয়ে কেউ দাবি না করায় কয়েক দিনের মধ্যেই তা হতে চলেছে সুইৎজারল্যান্ডের সম্পদ। তবে পাকিস্তান-সহ কয়েকটি দেশের কিছু অ্যাকাউন্টের দাবিদার মিলেছে।

বহু বছর ধরেই সুইস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট রাজনৈতিক স্তরে চর্চার বিষয়। চলেছে দোষারোপ ও পাল্টা দোষারোপের পালা। দেশে কর ফাঁকি দিয়ে সুইস ব্যাঙ্কে রেখে দেওয়া টাকা অনেক দিন ধরেই ফেরাতে চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আমানতকারীদের অ্যাকাউন্টের গোপনীয়তা অনেকটাই কমিয়েছে সুইস সরকার। বেশ কয়েকটি দেশের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গেও নাগরিকদের অ্যাকাউন্টের তথ্য সরবরাহের চুক্তি হয়েছে তাদের।

আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত রামমন্দিরের স্তম্ভ তৈরি চলছে অযোধ্যায়

Swiss Bank Bank Account Kolkata
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy