টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার নিরাপত্তাকেই অগ্রাধিকার দিতে চায় কেন্দ্র। -প্রতীকী ছবি।
দেশের চালু টেলিযোগাযোগব্যবস্থার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করাটাই যে সরকারের প্রধান লক্ষ্য তা আরও এক বার বুঝিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জানাল উন্নততর ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের যোগাযোগব্যবস্থায় কোন কোন দেশের টেলিকম সংস্থাকে অনুপ্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে তা ভাল ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর তাই ভারতে ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের যোগাযোগব্যবস্থার ট্রায়ালে চিনা টেলিকম সংস্থাগুলিকে অংশ নিতে দেওয়া হবে কি না সে ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের আয়োজনে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা বলেন, ‘‘দেশে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালুর ট্রায়ালে কোন কোন বিদেশি সংস্থাকে অংশ নিতে দেওয়া হবে তা নিয়ে সরকার এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। আলোচনা চলছে। সব কিছু ভাল ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। কাদের সেই ট্রায়ালে অংশ নিতে দেওয়া হবে, তাদের কবে থেকে সেই ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে এই সবই এখন রয়েছে আলোচনার স্তরে।’’
এর পরেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় সেই ট্রায়ালে চিনা টেলিকম সংস্থাগুলিকে অংশ নিতে দেওয়া হবে কি না। জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব জানান এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
তিনি এও বলেন, ‘‘ভারতে চালু টেলিযোগাযোগব্যবস্থার হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যার শিল্পে চিনা টেলিকম সংস্থাগুলির অনুপ্রবেশ যথেষ্টই বেশি।’’
আরও পড়ুন- দেশে মোট আক্রান্ত ৮৪ লক্ষ ছাড়াল, সংক্রমণের হার ৪ শতাংশের কম
আরও পড়ুন- ফেব্রুয়ারিতেই কি কোভ্যাক্সিন
নিরাপত্তার অজুহাতে আমেরিকায় ইতিমধ্যেই টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি চিনা টেলিকম সংস্থার অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে। ট্রাম্প জমানায় অন্য দেশগুলিকেও এই পথে হাঁটার অনুরোধ জানানো হয়।
ভারত অবশ্য তার পরেও বুঝেশুনেই এগতে চাইছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব জানিয়েছেন দেশে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালুর ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগব্যবস্থার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। তাই বিদেশি সংস্থাগুলিকে এই ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশের চটজলদি অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তবে সঠিক বিকল্প না পেলে কারও জন্য দরজা সরাসরি বন্ধও করে দেওয়া হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy