সাধের স্মার্টফোনটা বেকায়দায় হাত থেকে পড়ে গেল। ছবি:শাটারস্টক
নতুন কেনা সাধের স্মার্টফোনটা বেকায়দায় হাত থেকে পড়ে গেল। ক্ষতিগ্রস্ত হল স্ক্রিনটা। মন খারাপ হওয়াই স্বাভাবিক। আর মোবাইলের স্ক্রিন বদলানো কম ঝক্কির নয়। সেই সঙ্গে সারানোর খরচ বেশ বড় অঙ্কের! ফলে মনের পাশাপাশি চাপ পড়ে পকেটেও।
সেই ‘চাপ’ কমাতেই এ বার মোবাইল স্ক্রিন ইনসিওরেন্স বাজারে নিয়ে এল বেশ কয়েকটি বিমা সংস্থা। এর আগে জীবন বিমা, গাড়ি বিমা, এমনকি মোবাইল বিমাও ছিল। কিন্তু, মোবাইলের স্ক্রিনেরও যে বিমা হতে পারে তা এত দিন প্রচলিত ছিল না। এ বার খুব কম প্রিমিয়ামে পাওয়া যাবে মোবাইল স্ক্রিনের বিমাও। আপাতত দু’টি সংস্থা এই বিমা বাজারে এনেছে— ‘গো ডিজিট’ এবং ‘বাজাজ ফিন্ সার্ভ’।
প্রিমিয়াম দেওয়ার পর যে মোবাইল বিমার আওতায় আসবে, তাতে লাগানো থাকবে বিশেষ এক ধরনের সফটওয়্যার। যার সাহায্যে ওই মোবাইলের ‘গতিবিধি’ এবং ‘হাল-হকিকত’ সর্বদা নজরে থাকবে বিমা কোম্পানির। ফোনের আইএমইআই নম্বর এবং মডেল সম্পর্কেও প্রয়োজনীয় তথ্য বিমা কোম্পানিকে জানাবে ওই সফটওয়্যার। তবে, গ্রাহকের উদ্বেগের কোনও কারণ থাকছে না। ফোন কী ভাবে কাজ করছে তার উপর নজর রাখা ছাড়া গ্রাহকের কোনও ব্যক্তিগত তথ্যে নজরদারি চালাবে না ওই সফটওয়্যার। এমনটাই দাবি করেছে ওই বিমা সংস্থাগুলি।
ইনসিওরেন্স করার খরচ কেমন? ‘গো ডিজিট’ জানিয়েছে তাদের বিমা পরিষেবা পেতে ন্যুনতম ১ হাজার ৭০০ টাকা দিতে হবে। পরিবর্তে মিলবে ১২ হাজার টাকার বিমা। অন্য দিকে, মাত্র ৪৯৯ টাকাতেই ১০ হাজার টাকার বিমা দিচ্ছে ‘বাজাজ ফিন্ সার্ভ’-এ। যে কোম্পানির ফোন, সেই সংস্থারই যে কোনও সার্ভিস সেন্টারে গিয়েই সারিয়ে নেওয়া যাবে মোবাইল। খরচ দেবে বিমা সংস্থা।
‘গো ডিজিট’ প্রথমে জানিয়েছিল শুধুমাত্র নতুন ফোনের ক্ষেত্রেই এই বিমা প্রকল্প প্রযোজ্য হবে। পরে যদিও তারা জানায় বাজারে প্রচুর গ্রাহক থাকায় তারা পুরনো ফোনকেও এই বিমার আওতায় আনছে। বাজাজ যদিও সবিস্তারে বিমা নিয়ে কিছু জানায়নি।
আরও পড়ুন:অবসরে বাড়তি আয়ের সুযোগ দিচ্ছে আমাজন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy