Advertisement
E-Paper

ভারত বাদে সবাই একমত, তবু চুক্তির আশা

আলোচনায় যুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের অবশ্য আশা, সোমবার বৈঠকের আগে সমাধানের একটা পথ মিলবেই। সূত্রের খবর, ভারত বাদে বাকি ১৫টি আরসিইপ সদস্যই চুক্তি চূড়ান্ত করার ব্যাপারে একমত হয়েছে।

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:০২
তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী।—ছবি রয়টার্স।

তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী।—ছবি রয়টার্স।

ভারতের তোলা আপত্তি নিয়ে শনিবার ঐকমত্যে পৌঁছনো যায়নি। সূত্রের দাবি, ভারত সহমত না-হওয়ায় রবিবারও ঝুলেই রইল প্রস্তাবিত আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (আরসিইপি) ভবিষ্যৎ। একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। চুপ রইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সোমবার আরসিইপির বৈঠক। চুক্তি চূড়ান্ত করা নিয়ে আসিয়ান গোষ্ঠীর ১০টি-সহ ১৬টি দেশের সঙ্গে নাগাড়ে দর কষাকষি চালাচ্ছে কেন্দ্র। বাজার খোলা ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে সৌহার্দ্যপূর্ণ রফার দাবিতে অনড় তারা।

আলোচনায় যুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের অবশ্য আশা, সোমবার বৈঠকের আগে সমাধানের একটা পথ মিলবেই। সূত্রের খবর, ভারত বাদে বাকি ১৫টি আরসিইপ সদস্যই চুক্তি চূড়ান্ত করার ব্যাপারে একমত হয়েছে।

১৬টি দেশের মধ্যে মুক্ত আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি ঘিরে কথা চলছে বছর দু’য়েক ধরে। তাইল্যান্ডে হতে চলেছে শেষ দফার আলোচনা। তবে ভারতের আশঙ্কা, একবার চুক্তি হয়ে গেলে চিন থেকে আসা সস্তার কৃষি ও শিল্প পণ্যে দেশের বাজার ছেয়ে যেতে পারে। যে কারণে ঢাল হিসেবে মূলত বাজার খোলা ও সংরক্ষিত পণ্যের তালিকা তৈরির বিষয়টিতে জোর দিচ্ছে তারা।

চুক্তি নিয়ে আপত্তি তুলেছে খোদ আরএসএস ঘনিষ্ঠ সংগঠন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। কংগ্রেসের তোপ, এতে কৃষক, দোকানদার, ছোট ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়বেন। সোমবার এ নিয়ে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ডাক দিয়েছে ২৫০টি কৃষক সংগঠনের মঞ্চ। তবে বণিকসভা সিআইআইয়ের দাবি, এই চুক্তি না করলে ভারতের রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ধাক্কা খাবে লগ্নি। এই অবস্থায় সোমবার আরসিইপি-র বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ভারতের সিদ্ধান্তের উপরেই অনেকটা নির্ভর করছে ওই চুক্তি। যা চূড়ান্ত হলে বিশ্বের সব থেকে বড় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল হবে এটি। কারণ এই ১৬টি দেশেই থাকেন ৩৬০ কোটি মানুষ। বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক।

মোদীর দাবি, সব ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থ দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে কূটনৈতিক সূত্রের ইঙ্গিত, আলোচনায় দাঁড়ি পড়বে সোমবার।

সংবাদ সংস্থা

Narendra Modi RCEP Thailand
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy