E-Paper

‘এক-দেড় হাজার টাকায় কী কী হয় জবাব দিক কেন্দ্র’, ফের চর্চায় পিএফ-এর পেনশন

দাবি, সরকারের তরফে গোটা দেশকে জানানো হোক, ১৫০০ টাকা দিয়ে ঠিক কোন কোন খরচ চালানো সম্ভব? যেখানে খাদ্যপণ্য, তেল-গ্যাস সমেত দৈনন্দিন জরুরি পণ্য থেকে শুরু করে চিকিৎসা, ওষুধ— সব কিছুর দাম চড়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৫ ০৭:৫৩
বর্তমানে সিংহভাগ সদস্যই পান ১৫০০ টাকার কম।

বর্তমানে সিংহভাগ সদস্যই পান ১৫০০ টাকার কম। —প্রতীকী চিত্র।

কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের পেনশন প্রকল্পে (ইপিএস) অর্ধেকেরও বেশি পেনশনভোগী মাসে ১৫০০ টাকার কম পান। আজ রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে ওই তথ্য জানান কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শোভা কারান্দলাজ। তার পরেই ফের সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে। ট্রেড ইউনিয়নগুলির অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে পিএফের পেনশন সংশোধন না হওয়ার কারণে সিংহভাগ পেনশনভোগী এত কম টাকা পাচ্ছেন। তাদের দাবি, সরকারের তরফে গোটা দেশকে জানানো হোক, ১৫০০ টাকা দিয়ে ঠিক কোন কোন খরচ চালানো সম্ভব? যেখানে খাদ্যপণ্য, তেল-গ্যাস সমেত দৈনন্দিন জরুরি পণ্য থেকে শুরু করে চিকিৎসা, ওষুধ— সব কিছুর দাম চড়েছে।

শোভা জানান, গত ৩১ মার্চের হিসাবে ইপিএসে মোট সদস্য ৮১,৪৮,৪৯০ জন। তার মধ্যে ৪৯,১৫,৪১৬ জনেরই পেনশন মাসে ১৫০০ টাকার কম। ৬০০০ টাকার বেশি পান ৫৩,৫৪১ জন। সূত্রের খবর, ১৯৯৫-এ ইপিএস চালুর পরে বছরে প্রায় ২.৫% পেনশন বাড়ানো হত। কিন্তু ২০০০ সাল থেকে টাকা বাড়ানো বন্ধ হয়। কারণ হিসেবে দেখানো হয়, পেনশন তহবিলের ঘাটতিকে।

ইউটিইউসির সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষের আক্ষেপ, ‘‘অবসরের পরে বেশির ভাগ প্রবীণেরই আয় থাকে না। অথচ চিকিৎসার মতো জরুরি খরচ বেড়ে যায়। এই বাজারে মাত্র দেড় হাজার টাকায় কুলিয়ে ওঠা কঠিন।’’ অশোকের প্রশ্ন, সরকার বরং জবাব দিক এই টাকায় ঠিক কোন কোন প্রয়োজন মেটানো সম্ভব? একাংশ পান মাত্র ১০০০ টাকা। এআইউটিইউসির সহ-সভাপতি এবং পিএফের অছি পরিষদের প্রাক্তন সদস্য দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে পেনশন বাড়াতে বলছি। কিন্তু সরকার তহবিলে টাকা না থাকার অজুহাত দেখিয়ে তা নাকচ করছে। অথচ কর্মীরা পেনশন তহবিলে টাকা দেন। নিয়োগকারী যা দেন, তা-ও কর্মীদেরই অর্জিত।’’ দিলীপের দাবি, পিএফ পেনশনকে খুচরো মূল্যসূচকের সঙ্গে জোড়া জরুরি। তাতে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে টাকা বাড়বে। টিইউসিসির সাধারণ সম্পাদক এবং পিএফের অছি পরিষদের সদস্য এসপি তিওয়ারিও বলেন, “একাধিকবার পেনশন বৃদ্ধির দাবি তুলেছি অছি পরিষদের বৈঠক। মন্ত্রী আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু বস্তবে কিছু হয়নি।’’

এক ঝলকে

ইপিএস চালু হয় ১৯৯৫-এর ১৬ নভেম্বর।

পেনশন সংশোধন হয় ২০০০ সাল পর্যন্ত।

পেনশন তহবিলে ঘাটতির যুক্তি দিয়ে সংশোধন বন্ধ করে সরকার।

ন্যূনতম পেনশন ১০০০ টাকা চালু হয় ২০১৪ সাল থেকে।

বর্তমানে সিংহভাগ সদস্যই পান ১৫০০ টাকার কম।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

PF Trade Union

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy