রান্নার গ্যাস সংস্থার পরিষেবায় কি অখুশি? সে ক্ষেত্রে খুব শীঘ্রই পাওয়া যেতে পারে সংযোগ অবিচ্ছিন্ন রেখে সংস্থা বদলের সুবিধা। এ নিয়ে গ্রাহক, সিলিন্ডার সরবরাহকারী, সামাজিক সংগঠন-সহ নানা পক্ষের মতামত চেয়েছে জ্বালানি ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক পিএনজিআরবি। টেলিকমে অনেক আগেই নম্বর এক রেখে সংস্থা বদলের (পোর্টেবিলিটি) সুবিধা চালু। এলপিজি সিলিন্ডারের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই রকম হতে চলেছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
ইউপিএ আমলে ২০১৩ সালের অক্টোবরে দেশে ১৩টি রাজ্যের ২৪টি জেলায় গ্যাসের সংযোগ বদলের একটি পরিষেবা পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় ৪৮০টি জেলায়। কিন্তু সেখানে সংস্থা বদলের কোনও সুবিধা ছিল না। শুধু একই সংস্থার সরবরাহকারী (ডিস্ট্রিবিউটার) বদলানো যেত। কারণ নিয়ম ছিল, ফাঁকা সিলিন্ডার সংস্থার কাছে জমা পড়তে হবে। নতুন করে গ্যাস ভরাবে তারাই।
তবে এ বার দৃষ্টিভঙ্গি বদল করছে পিএনজিআরবি। তাদের বক্তব্য, দেশে এখন এলপিজি সংযোগের সংখ্যা প্রায় ৩২ কোটি। অথচ এরই মধ্যে বছরে প্রায় ১৭ লক্ষ অভিযোগ জমা পড়ে। সংস্থাগুলি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও অভিযোগের হার কমার বিশেষ লক্ষণ নেই। সরবরাহকারীরা পরিষেবা দিতে সমস্যায় পড়লে অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকের কিছু করার থাকে না। নির্দিষ্ট কোনও জায়গায় সিলিন্ডার জোগানের ক্ষেত্রে সংস্থা যদি সমস্যার মুখে পড়ে, তখন স্থানীয় সরবরাহকারী বদলেও সুরাহা হয় না। চাপে পড়েন গ্রাহক। প্রবল সমস্যায় পড়ে হোটেল, রেস্তরাঁর মতো বাণিজ্যিক গ্রাহকেরাও। পিএনজিআরবি মনে করছে, এই অবস্থায় সংযোগ অক্ষুণ্ণ রেখে সংস্থা বদলের সুবিধা দেওয়া উচিত তাঁদের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)