Advertisement
E-Paper

কেন্দ্রকে দুষে আন্দোলনের পথে শ্রমিক ইউনিয়নগুলি

সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, এখন রাস্তায় নেমে বা ধর্মঘট করে প্রতিবাদ করা সম্ভব নয়। তাই ২২ মে দিল্লিতে রাজঘাটে গাঁধীর সমাধিস্থলে দিনভর অনশন করবেন তাঁরা। বিভিন্ন রাজ্যেও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২০ ০৪:৫৯
শুরু হয়েছে কাজ। গুজরাতের এক কারখানায়। এএফপি

শুরু হয়েছে কাজ। গুজরাতের এক কারখানায়। এএফপি

কর্মী ইউনিয়নগুলি আগেই জানিয়েছিল, কিছু রাজ্য শ্রম আইন ভাঙায় বিচার চাইতে রাষ্ট্রপুঞ্জের শ্রম সংস্থার (আইএলও) দ্বারস্থ হবে তারা। হুঁশিয়ারি দিয়েছিল দেশব্যাপী আন্দোলনের।

লকডাউনের মধ্যেই সেই আন্দোলনের তোড়জোড় শুরু করে দিল তারা। শুক্রবার ১০টি ট্রেড ইউনিয়ন জানাল, লকডাউনের সুযোগে একাধিক রাজ্য শ্রম আইন ভাঙছে। তাতে মদত দিচ্ছে কেন্দ্র। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ২২ মে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ দিবস পালন করা হবে। যৌথ ভাবে না হলেও, একই অভিযোগে তার আগেই, ২০ মে সারা দেশে প্রতিবাদ দিবস পালন করবে আরএসএসের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ (বিএমএস)।

সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, এখন রাস্তায় নেমে বা ধর্মঘট করে প্রতিবাদ করা সম্ভব নয়। তাই ২২ মে দিল্লিতে রাজঘাটে গাঁধীর সমাধিস্থলে দিনভর অনশন করবেন তাঁরা। বিভিন্ন রাজ্যেও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে সমস্ত ক্ষেত্রেই লকডাউনের দূরত্ব বিধি মানা হবে বলে জানিয়েছেন সকলে।

বিএমএসের সাধারণ সম্পাদক ব্রিজেশ উপাধ্যায় বলেন, ২০ মে বিভিন্ন শিল্প তালুক ছাড়াও নানা স্থানে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে। ৩০, ৩১ মে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরে শ্রম আইনগুলি বাতিলের বিরুদ্ধে কনভেনশন করবেন।

ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সভাপতি দোলা সেন জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গায় শ্রম আইন ভাঙার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামছেন তাঁরাও। এআইইউটিইউসির সভাপতি শঙ্কর সাহা এবং সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেনের অভিযোগ, “লকডাউনের মধ্যে শ্রমিকদের আন্দোলন করার অসুবিধা বুঝেই একের পর এক রাজ্যে তাঁদের অধিকার কাড়ার এই হিড়িক পড়েছে। বিশেষত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। কেন্দ্রের উস্কানিতেই চলছে এ সব।’’ আরও বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়ে শঙ্করবাবু বলেন, “শুধু বিজেপিই নয়, রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারও সুযোগ বুঝে এই আইন ভাঙায় পিছিয়ে নেই।’’

শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, লকডাউনের সুযোগে শ্রম আইন ভাঙায় প্রথম সারিতে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। যারা শ্রমিকদের বিভিন্ন অধিকার সংক্রান্ত ৩৮টি শ্রম আইন ১০০০ দিন অর্থাৎ প্রায় তিন বছর বাতিল করার জন্য অধ্যাদেশ জারি করেছে। আইন শিথিল করে দৈনিক কাজের ঘণ্টা ৮ থেকে বাড়িয়ে ১২ করেছে গুজরাত, পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, অসম, রাজস্থান ও ওড়িশা সরকার। অনেক ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত সময় কাজের জন্য আইন মোতাবেক ওভারটাইমের পুরো টাকাও দেওয়া হচ্ছে না। অন্য দিকে। কর্মীদের সুবিধা দেওয়ার নাম করে প্রভিডেন্ট ফান্ডে কর্মীদেরই প্রাপ্য ছেঁটেছে কেন্দ্র।

তবে শঙ্করবাবু অবশ্য জানান, উত্তরপ্রদেশে সরকারের জারি অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে ইউপি ওয়ার্কার্স ফ্রন্ট ইলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করেছে। শীঘ্রই শুনানি হবে। কিন্তু তার আগেই রাজ্য তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আদালতকে জানাতে আডভোকেট জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছে যোগী সরকার।

corona virus covid 19 labour union
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy