ডিজিটাল লেনদেন যত প্রসারিত হচ্ছে, ততই বাড়ছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে (এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে) এমন ১৮,৪৬১টি প্রতারণা সামনে এসেছে। খোওয়া গিয়েছে আমজনতার ২১,৩৬৭ কোটি টাকা। আগের অর্থবর্ষের একই সময়ের তুলনায় এই অঙ্ক প্রায় আট গুণ।
শীর্ষ ব্যাঙ্কের দাবি, এর ফলে গ্রাহকের তো ক্ষতি হচ্ছেই। ব্যাঙ্কগুলিও একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। তাদের ভাবমূর্তি ধাক্কা খাচ্ছে, দৈনন্দিন ব্যাঙ্কিং কাজকর্ম এবং ব্যবসা ঝুঁকির মুখে পড়ছে, কমছে সাধারণ মানুষের ভরসা। সব মিলিয়ে প্রভাব পড়ছে আর্থিক স্থিতিশীলতায়। তাই ব্যাঙ্কিং লেনদেনে আরও কড়া নজরদারির বার্তা দিয়েছে আরবিআই।
দেশে ব্যাঙ্কিং শিল্পের হাল নিয়ে আরবিআইয়ের ‘ট্রেন্ড অ্যান্ড প্রগ্রেস অব ব্যাঙ্কিং ইন ইন্ডিয়া ২০২৩-২৪’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ১৪,৪৮০টি ঘটনা সামনে এসেছিল। তাতে জড়িত ছিল ২৬২৩ কোটি টাকা। সেটাই এ বার আট গুণ। ব্যাঙ্কগুলির অবশ্য দাবি, গত বার জালিয়াতির সংখ্যা ছিল এক দশকে সবচেয়ে কম। প্রতারণায় জড়িত টাকার অঙ্কও ১৬ বছরে সর্বনিম্ন। ৬৭.১% প্রতারণাই হয়েছিল বেসরকারি ব্যাঙ্কে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে বেশি হয় কার্ড বা নেট ব্যাঙ্কিং জালিয়াতি। ব্যাঙ্কগুলিকে জরিমানা দিতে হয় ৮৬.১ কোটি টাকা।
ঋণ প্রদানকারী অ্যাপগুলি চিন্তা বাড়াচ্ছে বলেও জানিয়েছে আরবিআই। বলেছে, এগুলি নিয়ন্ত্রণে ডিপোজ়িটরি তৈরির পথে হাঁটছে তারা। তার উপরে শুধু জালিয়াতির উদ্দেশ্যে অ্যাকাউন্ট (মিউল) তৈরির সংখ্যাও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে পুরো ব্যাঙ্কিং শিল্পকে আরও সতর্ক হতে বলেছে আরবিআই। বাড়াতে বলেছে নজরদারি। সে জন্য প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে মিলে কাজ করার বার্তা দিয়েছে তারা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)