ক্রমাগত সোনা কিনে চলেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই। ফলে ফুলেফেঁপে উঠছে ভারতের স্বর্ণভান্ডার। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে তীব্র হয়েছে উত্তেজনার পারদ। পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সেই কথা মাথায় রেখেই কি হলুদ ধাতুর মজুত বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক? সরকারি ভাবে অবশ্য এই প্রশ্নের মেলেনি জবাব।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত আর্থিক বছরে (পড়ুন ২০২৪-’২৫) মোট ৫৭.৫ টন সোনা মজুত করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার জেরে এই সময়সীমার মধ্যে এক তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সোনার দর। ফলে পৃথিবীর শক্তিশালী দেশগুলির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি ব্যাপক হারে হলুদ ধাতু কেনা শুরু করেছে। আরবিআইয়ের স্বর্ণভান্ডার বৃদ্ধির সূচক এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে জানা গিয়েছে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে সোনার মজুত বাড়াচ্ছে আরবিআই। ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের হলুদ ধাতু কেনার পরিমাণ ছিল গত সাত বছরের নিরিখে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ বছরের মার্চে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের মজুত করা সোনার পরিমাণ ৮৭৯.৬ টনে গিয়ে পৌঁছয়। গত বছরের মার্চে এটি ছিল ৮২২.১ টন।
সূত্রের খবর, ২০২১-’২২ আর্থিক বছরে ৬৬ টন সোনা কেনে আরবিআই। ঠিক তার পরের আর্থিক বছরে (পড়ুন ২০২২-’২৩) সেটা নেমে আসে ৩৫ টনে। ২০২৩-’২৫ অর্থবর্ষে আবার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কেনা হলুদ ধাতুর পরিমাণ ছিল ২৭ টন।
সোনা মজুতকারী বিশ্বের সেরা ১০টি ব্যাঙ্কের তালিকায় নাম রয়েছে আরবিআইয়ের। চিন, সুইৎজ়ারল্যান্ড এবং তুরস্কের মতো রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কও স্বর্ণভান্ডারের মজুত হ্রাস করতে অনিচ্ছুক। আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ডলারে অস্থিরতা দেখা গিয়েছে। আর তাই সোনা কেনার অঙ্ক বৃদ্ধি করেছে আরবিআই। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে সেটা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।