Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

চলতি খাতে ঘাটতির ভয়, বার্তা শীর্ষ ব্যাঙ্কের 

অশোধিত তেলের চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশই বিদেশ থেকে কেনে ভারত। যা গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেড়েছিল প্রায় ১২%।

—ছবি রয়টার্স।

—ছবি রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা 
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:৪৭
Share: Save:

চাহিদা বৃদ্ধি এবং জোগান কমার আশঙ্কায় চলতি অর্থবর্ষের গোড়া থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল অশোধিত তেলের দাম। যার প্রভাব আছড়ে পড়ছিল ভারতের পেট্রোপণ্য বাজারেও। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমেছে। কিন্তু দেশের অর্থনীতির আশঙ্কা এখনও কাটেনি বলেই মন্তব্য করা হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গবেষণাপত্রে। সেখানে বলা হয়েছে, হঠাৎই যদি অশোধিত তেলের দাম ফের বাড়ে, তা হলে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেতে পারে চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রার লেনদেন ঘাটতি। সে ক্ষেত্রে ভাল আর্থিক বৃদ্ধি সত্ত্বেও চলতি খাতে ঘাটতির বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে মূল্যবৃদ্ধি এবং রাজকোষ ঘাটতির উপরেও।

অশোধিত তেলের চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশই বিদেশ থেকে কেনে ভারত। যা গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেড়েছিল প্রায় ১২%। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, গোটা বিশ্বে বৃদ্ধি, তেলের চাহিদা এবং জোগানের আশঙ্কার ফলেই বেড়েছিল সেই দাম। এর পরে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে দাম কমতে শুরু করে। তবে দামে এখনও স্থিতিশীলতা না আসায় ফের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। রবিবার রাতের দিকে ব্যারেল প্রতি ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ছিল ৫৭.০৬ ডলার। এ দিনই একটা সময়ে তা ৫৮ পার করে ফেলেছিল।

গবেষণাপত্রে উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, অশোধিত তেলের দাম যদি ব্যারেল প্রতি ৮৫ ডলারে পৌঁছয়, তা হলে শুধু তেলের খাতেই ঘাটতি পৌঁছবে ১০,৬৪০ কোটি ডলারে। যা জিডিপির ৩.৬১%।

আরও পড়ুন: হারাতে বসা মসলিন ফিরছে খাদির হাত ধরে

আরও পড়ুন: এই পাওয়ার ব্যাঙ্ক দিয়ে চার্জ করা যাবে ল্যাপটপও

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Deficit RBI Reserve Bank of India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE