ফাইল চিত্র।
আনলক পর্ব শুরু হলেও, জুলাই-সেপ্টেম্বরে সে ভাবে পুরোদমে শুরু হয়নি আর্থিক কর্মকাণ্ড। যে কারণে ধাক্কা লেগেছে তেলের চাহিদায়। ফলে প্রত্যাশিত ভাবেই তার প্রভাব পড়ল রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের সামগ্রিক মুনাফায়। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে যা কমেছে ১৫%। গত বছর ১১,২৬২ কোটি টাকা থেকে কমে এ বার মুকেশ অম্বানীর সংস্থাটির লাভ হয়েছে ৯৫৬৭ কোটি। পেট্রোকেম ব্যবসার আয়ই ২৩% কমে হয়েছে ২৯,৬৬৫ কোটি।
যদিও এ বারে প্রথম ত্রৈমাসিকের চেয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে দাবি তাদের। এর মধ্যেই অবশ্য উল্লেখযোগ্য ভাল ফল করেছে রিলায়্যান্স টেলিকম শাখা রিলায়্যান্স জিয়ো। নিট মুনাফা প্রায় তিন গুণ বেড়েছে তাদের। ক্রমাগত মাসুল বৃদ্ধির পথে হেঁটে গ্রাহক পিছু আয়ও বেড়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
শুধু মুনাফা ২৮৪৪ কোটি টাকা হওয়াই নয়, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গ্রাহক পিছু আয়ও বেড়েছে জিয়োর। টেলি শিল্পে যাকে সংস্থার ভাল স্বাস্থ্যের অন্যতম মাপকাঠি বলে ধরা হয়। জিয়ো জানিয়েছে, ২০১৯-২০ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গ্রাহক পিছু আয় ছিল ১২৭.৪ টাকা। এ বার ১৪৫ টাকা।
এ দিকে, গত ত্রৈমাসিকে করদানের আগের মুনাফা ১৩.৭৭% কমেছে রিলায়্যান্স রিটেলের। হয়েছে ২০০৯ কোটি টাকা। টেলিকম ব্যবসার পাশাপাশি, যে শাখাকে পাখির চোখ করে ব্যবসার ঘুঁটি সাজাচ্ছেন মুকেশ। সংস্থা জানিয়েছে, ওই সময়ে আয়ও কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯,১৯৯ কোটি। যদিও ভবিষ্যতে এই ব্যবসার ভাল করা নিয়ে আশাবাদী রিলায়্যান্স।
তবে রিলায়্যান্স আশাবাদী হলেও, রিটেল ব্যবসা ছড়ানো নিয়ে সংশয় দানা বাঁধছে। ইতিমধ্যেই অ্যামাজ়নের আর্জিতে ফিউচারের কিছু ব্যবসা কেনার জন্য করা রিলায়্যান্সের চুক্তিতে স্থগিতাদেশ জারি করেছে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় অংশীদারি কেনা নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির পরামর্শ নিতে চায় বিএসই। এই চুক্তি নিয়ে সেবির অবস্থান জানতে চায় স্টক এক্সচেঞ্জটি। পাশাপাশি ফিউচার ও রিলায়্যান্স, উভয়ের থেকেও সবটা স্পষ্ট ভাবে জানতে চাইবে তারা। সব মিলিয়ে দেশে রিটেল শিল্পে উত্তাপ বাড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy