প্রতীকী ছবি।
অনলাইনে সস্তা বা বিশেষ পণ্যের খোঁজ পেয়ে বহু ক্রেতাই সেই দিকে ঝোঁকেন। করোনাকালে একাংশের নেট বাজারের প্রতি ভরসা আরও বেড়েছে। কিন্তু প্রতিযোগিতার নিয়ম ভেঙে বাড়তি সুবিধা দিয়ে ক্রেতা টানা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে ই-কমার্স সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তোপ দেগেছে খুচরো ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠন। এ বার একই যুক্তি দেখিয়ে তাদের দিকে আঙুল তুলল মোবাইল বিক্রেতা সংস্থাগুলি। অল ইন্ডিয়া মোবাইল রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এআইএমআরএ) দাবি, বেআইনি এবং একচেটিয়া ব্যবসা করে অনলাইন বাজারগুলি প্রায় দেড় লক্ষ দোকানের ভবিষ্যৎ বিপন্ন করছে। তাই অনলাইন এবং সাধারণ দোকান, দু’পক্ষের প্রতিযোগিতার সমান মঞ্চ তৈরির জন্য কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে তারা।
এ রাজ্যে এআইএমআরএ-র প্রেসিডেন্ট মোহন বাজোরিয়ার দাবি, মোবাইল ফোন, বিশেষত স্মার্টফোনের বাজারে এই সমস্যা প্রকট হয়েছে। ভারতে যে বাজার প্রায় ৩৮০০ কোটি ডলারের (প্রায় ২,৮৯,৫২২ কোটি টাকা)। অতিমারির পরে অনলাইনে সেগুলির বিক্রি প্রায় ৫০% ছুঁয়েছে। অনেক মডেল শুধু নেট বাজারেই মেলে। বিপণির বিক্রেতাদের জোগান দেয় না সংস্থাগুলি। উপরন্তু যে ফোন দোকানে বিক্রি হয়, তারও একাংশ অনলাইনে সস্তা। ফলে ব্যবসা হারায় বিপণিগুলি। এ ভাবে দেশে গত তিন বছরে প্রায় ১০ হাজার খুচরো বিক্রেতার ব্যবসা গুটিয়েছে। তাঁদের মধ্যে এ রাজ্যের অন্তত ৫০০ জন।
মোবাইল বিক্রেতাদের দাবি, এই অসম প্রতিযোগিতার পরিবেশে বেশি দিন লড়াই করা অসম্ভব। প্রধানত ছোট ব্যবসায়ীদের। ফলে দ্রুত তাঁরা বাজারে থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ নেটে বিক্রি বৈধ বলে যুক্তি দিচ্ছে। তবে এআইএমআরএ-র পাল্টা দাবি, ব্যবসা যে মাধ্যমেই হোক, প্রতিযোগিতার নিয়ম সকলের জন্য এক হওয়া উচিত। না হলে সাধারণ বিপণিগুলি কী করে টিকবে? কেন্দ্রের কাছে তাদের আর্জি, হয় এই বৈষম্য রুখতে নতুন নিয়ম চালু হোক, নয়তো সকলকে সমান সুবিধা দিতে পদক্ষেপ করুক তারা। আজ, শনিবার থেকে শহরে সংগঠনের দু’দিনব্যাপী বার্ষিক সভাতেও এ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy