খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হারে স্বস্তি। ৬৫ বেসিস পয়েন্ট কমল এর সূচক। ফলে ৩.৬১ শতাংশে নেমে এসেছে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার। গত সাত মাসের মধ্যে এটি সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। চলতি মাসে এই হার বজায় থাকলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কিছুটা সস্তা হবে বলে আশাবাদী আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
বুধবার, ১২ মার্চ খুচরো মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৪.২৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে সেখান থেকে সূচক নামায় স্বস্তি পেয়েছে আমজনতা। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেশ ঊর্ধ্বমুখী ছিল খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার। তখন সূচক দাঁড়িয়েছিল ৫.০৯ শতাংশ।
গত বছরের ফেব্রুয়ারির সঙ্গে এ বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনা করলে নিত্যপ্রয়োজনীয় বহু জিনিসের দামই কমেছে। তবে সেই তালিকায় সবচেয়ে উপরের দিকে রয়েছে মশলা। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে ডিম। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এই দু’টির দাম কমেছে যথাক্রমে ৫.৮৫ এবং ৩.০১ শতাংশ।
অন্য দিকে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে তেল এবং চর্বিজাত পণ্যের। মাস থেকে মাসের হিসাবে এগুলির দর বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬.৩৬ শতাংশ। এ ছাড়া ফলের দাম ১৪.৮২ শতাংশ এবং প্রসাধন সামগ্রীর দাম ১৩.৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত বছরের নিরিখে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে দাম বৃদ্ধি পাওয়া পণ্যের তালিকায় রয়েছে, খাদ্যশস্য, মাংস, মাছ, দুধ, চিনি ও মিষ্টি, অ্যালকোহল-মুক্ত পানীয়, রান্না করা খাবার এবং স্ন্যাক্স। এ ছাড়া জামাকাপড়, জুতো, বাড়ি, স্বাস্থ্য, পরিবহণ এবং শিক্ষা সংক্রান্ত খরচও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত এলাকাগুলির মধ্যে কেরলের খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার সর্বাধিক। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেখানে এর সূচক ছিল ৭.৩১ শতাংশ, সারা দেশের সঙ্গে তুলনায় যা প্রায় দ্বিগুণ। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে ছত্তীসগঢ় এবং কর্নাটক। ওই দুই রাজ্যে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার যথাক্রমে ৪.৮৯ শতাংশ এবং ৪.৪৯ শতাংশ বলে জানা গিয়েছে।