প্রতীকী ছবি।
অর্থ মন্ত্রকের আশ্বাস ছিল ৬৮-৭০ টাকায় থিতু হবে ডলারের দাম। অথচ এর মধ্যেই তা ছুঁয়ে ফেলল ৭১ টাকা। ফের উঠল ২৬ পয়সা। ডলারের সাপেক্ষে এর আগে টাকা কখনও এই তলানিতে নামেনি।
সরকার অবশ্য বলে চলেছে, অর্থনীতি পোক্ত। আশঙ্কার কারণ নেই। কিন্তু প্রশাসনের অন্দরেই গুঞ্জন, ডলার যদি ৭৫ টাকাতেও পৌঁছে যায়, আশ্চর্যের কিছু নেই। অনেকের আবার উদ্বেগ, তা ৮০ ছুঁয়ে ফেলবে না তো!
কেন্দ্র টানা টাকার দাম পড়ার দায় চাপাচ্ছে আন্তর্জাতিক সমস্যার ঘাড়ে। একই সঙ্গে সরকার ও বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, এতে বাড়ছে রফতানি। সুবিধা পাচ্ছেন রফতানিকারীরা। কিন্তু খরচের বহরে আমদানিকারীদের মাথায় হাত। ওই খাতে লম্বা বিল মেটাচ্ছে সরকারও। বিশেষত তেলের। যে কারণে চলতি খাতে ও রাজকোষ ঘাটতিতে লাগাম পড়ানো নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। উদ্বেগ মূল্যবৃদ্ধি ঘিরেও।
বিরোধী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী এক সময়ে মনমোহন সরকারকে উঁচু ডলারের দর নিয়ে নিয়মিত দুষতেন। এখন আক্রমণের মুখে তিনি নিজে। এ দিনও টাকার পতন কেন্দ্রের আর্থিক নীতির ব্যর্থতা বলে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলে বলছেন, এতে পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়বে। ভয় যে অমূলক নয় তার প্রমাণ, শুক্রবারই রান্নার গ্যাসের দাম বাড়া। কলকাতায় পেট্রল ১৬ পয়সা বেড়ে লিটারে হয়েছে ৮১.৬০ টাকা। ডিজেল ২১ পয়সা বেড়ে ৭৩.২৭ টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy