কলকাতায় কমেছে বড় ও বিলাসবহুল আবাসনের বিক্রি। তবে ছোট ও মাঝারি মাপের বাড়ি-ফ্ল্যাট বাজারকে সচল রাখার দায়িত্ব নিয়েছে। আবাসন ক্ষেত্রের পরামর্শদাতা সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্কের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, অক্টোবরে বৃহত্তর কলকাতা অঞ্চলে ১০০০ বর্গফুটের বেশি আয়তনের আবাসন বিক্রি হয়েছে মাত্র ৬৬৫টি।
নাইট ফ্র্যাঙ্কের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০২১ এবং ২০২২ সালে শহরে আবাসন বিক্রিতে ছোট আবাসনের (৫০০ বর্গফুট পর্যন্ত) অংশীদারি ছিল যথাক্রমে ২৫% এবং ২৪%। গত অক্টোবরে তা বেড়ে ৩০% হয়েছে। মাঝারির (৫০০-১০০০ বর্গফুট) ক্ষেত্রে অংশীদারি ৪৯% এবং ৪৫% থেকে বেড়ে ৫৫ শতাংশে পৌঁছেছে। কিন্তু বিলাসবহুল আবাসনের ক্ষেত্রে তা ২৬% থেকে ১৫ শতাংশে নেমেছে। সংখ্যার হিসাবে তিন ধরনের আবাসন বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে ১৩৪৫, ২৪৬০ এবং ৬৬৫। সামগ্রিক ভাবে এক বছর আগের তুলনায় ১২% বেশি।
সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, কলকাতায় বিলাসবহুল আবাসনের বিক্রিতে ভাটার মূল কারণ আর্থিক। এখানে আবাসনের গড় দাম বছরে ৭%-৮% বেড়েছে। কিন্তু রোজগার সেই অনুপাতে বাড়েনি। ফলে ছোট ও মাঝারি ফ্ল্যাটই ভরসা। নাইট ফ্র্যাঙ্কের চেয়ারম্যান শিশির বৈজল অবশ্য বলছেন, ২০২৪ সালে আবাসনের সামগ্রিক পরিস্থিতি খারাপ ছিল। সে বছর অক্টোবরে কলকাতায় বড় আবাসন বিক্রি হয়েছিল মাত্র ১৫৯টি। তার তুলনায় এ বছর বিক্রি বেশি। এমনিতে এখানে ৫০০ বর্গফুটের বেশি আয়তনের আবাসনের বিক্রি প্রায় ৭০%। সংস্থাটির পরিসংখ্যান বলছে, তার আগের বছরগুলির তুলনায় বড় আবাসনের বিক্রি এ বছর কমেছে। ২০২১ এবং ২০২২ সালের অক্টোবরে বিক্রির সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১২২৭ এবং ২১৮৮।
ক্রেডাই ওয়েস্ট বেঙ্গলের সভাপতি সুশীল মোহতার কথায়, ‘‘বড় আবাসন বিক্রি কমলেও মাঝারির চাহিদা বাড়ছে। এটা গোটা দেশের প্রবণতা।’’ তাঁর আশা, সুদের হার আরও কিছুটা কমলে পরিস্থিতি বদলাতে পারে। পূর্তি রিয়েলটির এমডি মহেশ আগরওয়াল বলেন, ‘‘কলকাতায় সামগ্রিক আবাসন বিক্রির পরিস্থিতি ইতিবাচক। তবে বিবিধ কারণে হস্তান্তরে দেরি হওয়ার কারণেও বিক্রি কমতে পারে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)