—ফাইল চিত্র।
আদানি কাণ্ডের তদন্তে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমা দিয়েছে সেবি। সেখানে ফল জানানো না হলেও বাজার নিয়ন্ত্রক বলেছে, ২৪টি বিষয়ের মধ্যে ২২টির তদন্ত শেষ হয়েছে। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে ঘুরপথে নিজেদের সংস্থায় পুঁজি ঢালার যে অভিযোগ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে করা হয়েছিল, তার তদন্ত সম্পূর্ণ হয়নি। এ নিয়েই শনিবার সেবি-কে তোপ দাগল কংগ্রেস। বিরোধী দলটির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের অভিযোগ, সেবি-র তদন্তে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারা ‘খুবই দুশ্চিন্তার’। কী ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘পছন্দের ব্যবসায়িক গোষ্ঠীকে’ সুবিধা করে দেওয়ার জন্য সরকার নিয়ম ভেঙেছে, একমাত্র যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) তদন্তই এর সত্যিটা সামনে আনতে পারে।
পাশাপাশি, এ দিন গুজরাত উর্জা বিকাশ নিগম আদানি পাওয়ার মুন্দ্রাকে অতিরিক্ত ৩৯০০ কোটি টাকা দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। দাবি, বিজেপি-র নেতাদের সায় ছাড়া তা দেওয়া সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ও সেবি এর তদন্ত করবে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছে তারা।
সেবি-র তথ্য অনুসারে, ১৩টি বিদেশি লগ্নিকারীর মাধ্যমে ঘুরপথে আদানি গোষ্ঠীতে লগ্নির অভিযোগের তদন্ত শেষ হয়নি। এদের পিছনে থাকা সংস্থাগুলি কর ফাঁকির স্বর্গরাজ্যে (ট্যাক্স
হেভন) অবস্থিত। সেখান থেকে তথ্য পাওয়াই চ্যালেঞ্জ। এগুলির আসল মালিক কারা তা জানার জন্য পাঁচটি দেশ থেকে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
রমেশের কটাক্ষ, একটি তদন্ত ছিল কর ফাঁকির স্বর্গরাজ্যের মাধ্যমে ঘুরপথে আদানিদের সংস্থায় তাদেরই টাকা ঢোকা নিয়ে। যে ধরনের লেনদেনের বরাবর বিরোধিতা করেছেন মোদী। তার উপরে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বিদেশ থেকে আসা পুঁজির মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য জানানোর নিয়ম বদলেছিল সেবি। যার ফল ভুগেছে সারা দেশ। এর জেরে এ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ পেলেও নিয়ন্ত্রকের পক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বছর জুনে নিয়ম কঠোর করলেও তত দিনে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। তাঁর তোপ, এখন চূড়ান্ত রিপোর্টের অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, সেবি কি নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং গোষ্ঠীতে বেআইনি ভাবে আসা ২০,০০০ কোটি টাকার উৎস খুঁজে বার করবে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy