নির্বাচনের ফল সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা তো আছেই। তার সঙ্গে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে নগদের সমস্যার আশঙ্কা। আর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে শুল্ক যুদ্ধের পরিস্থিতি তো রয়েছেই। এই বহুমুখী কারণে টানা ন’দিন পড়ল সেনসেক্স। এ বছরের দীর্ঘতম পতন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আপাতত ভোটের ‘ইতিবাচক’ ফলের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন লগ্নিকারীরা।
আজ ৩৭২.১৭ পয়েন্ট পড়ে ৩৭,০৯০.৮২ অঙ্কে থামে সেনসেক্স। নিফ্টি ১৩০.৭০ পয়েন্ট খুইয়ে থেমেছে ১১,১৪৮.২০ অঙ্কে। মুছে গিয়েছে লগ্নিকারীদের ৮.৫৩ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ। আর ন’দিনে সেনসেক্স পড়েছে ১,৯৪০.৭৩ পয়েন্ট। নিফ্টি ৫৯৯.৯৫। আজ ডলারে পড়েছে টাকার দরও। ১ ডলারের দাম ৫৯ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৭০.৫১ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রবিবার কর্পোরেট বিষয়ট সচিব ইনজেতি শ্রীনিবাসের জানিয়েছিলেন, ব্যাঙ্ক নয় এমন কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফসি) সঙ্কট আসন্ন। বিশেষত বড় কিছু এনবিএফসির পরিচালনায় ত্রুটির জন্য এই ক্ষেত্র ঘিরে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাঁর মন্তব্যের প্রভাব পড়েছে বাজারে। সূত্রের খবর, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি আজ ১,০৫৬.০১ কোটি টাকার পুঁজি সরিয়েছে। তার উপরে মার্কিন-চিন শুল্ক যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব পড়েছে এশিয়া, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বাজারে। চিন পাল্টা শুল্ক বসানো খবরে খোলার পরে পড়েছে মার্কিন বাজারও।
২৬ এপ্রিল লেনদেনের শেষে সেনসেক্স ছুঁয়েছিল ৩৯,০৬৭.৩৩ পয়েন্ট। অনেকের মত ছিল, ভোটের ফল ঘিরে অনিশ্চয়তা থাকলেও সূচক হয়তো বড় রকমের ধাক্কা খাবে না। কারণ, সাম্প্রতিক অতীতে তা একাধিক বার এ রকম ওঠানামা করেছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা সমস্যার মধ্যেও ফিরে এসেছে বড় অঙ্কের গণ্ডিতে। কিন্তু এখন সেনসেক্স যে ভাবে পড়ছে তাতে প্রশ্ন উঠছে, বাজার ফের ঘুরে দাঁড়াবে কবে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy