Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Sensex

৫০০ পয়েন্টেরও বেশি পড়ল সেনসেক্স

এ দিন বাজার খোলার পর সেনসেক্স পড়ে যায় প্রায় ১৫০ পয়েন্ট।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২০ ০২:২২
Share: Save:

সপ্তাহের গোড়াতেই ধাক্কা দেশের শেয়ার বাজারে। ইউরোপ-সহ বেশ কিছু জায়গায় ফের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি, রিলায়্যান্স-কে ফিউচার গোষ্ঠীর ব্যবসা বিক্রি নিয়ে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের স্থগিতাদেশ— এমন নানা খবরের জেরে সোমবার ৫০০ পয়েন্টেরও বেশি পড়ল সেনসেক্স। নিফ্‌টি পড়েছে ১৬২.৬০ পয়েন্ট। লগ্নিকারীদের খাতা থেকে মুছে গিয়েছে প্রায় ১.৯৮ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ।

এ দিন বাজার খোলার পর সেনসেক্স পড়ে যায় প্রায় ১৫০ পয়েন্ট। মূলত রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়-সহ কয়েকটি সংস্থার শেয়ার দরের পতন ও বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন শেয়ার বাজারের পতন তার মূল কারণ বলে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য। তবে দিনের মধ্যে সব মিলিয়ে প্রায় ৭৩৭ পয়েন্ট তলিয়ে যায় সেনসেক্স। পরে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। দিনের শেষে ৫৪০ পয়েন্ট নেমে থামে ৪০,১৪৫.৫০ অঙ্কে। অন্য দিকে নিফ্‌টি ১৬২.৬০ পয়েন্ট পড়ে থামে ১১,৭৬৭.৭৫ অঙ্কে। গত এক মাসে এক দিনে সব থেকে বেশি পড়েছে টাকার দামও। এ দিন প্রতি ডলার ২৩ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৭৩.৮৪ টাকা। এ দিন রিলায়্যান্সের শেয়ার দর পড়েছে প্রায় ৪%। অ্যামাজ়নের করা মামলায় সিঙ্গাপুরের আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত জানিয়েছে, চূড়ান্ত রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত রিলায়্যান্স রিটেল ভেঞ্চার্স-কে (আরআরভিএল) ফিউচার গোষ্ঠীর প্রস্তাবিত কিছু ব্যবসা বিক্রি করতে পারবে না। যদিও রিলায়্যান্স ও ফিউচার গোষ্ঠী সেই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে, তবুও ওই খবর রিলায়্যান্সের দরের উপর প্রভাব ফেলে বলে মত অনেকের।

পাশাপাশি ফের করোনার প্রকোপ বাড়ায় ইউরোপের অনেক দেশই কড়া লকডাউনের পথে হাঁটছে। ফলে সংশয় বেড়েছে নতুন করে। অন্য দিকে, আমেরিকায় এখনই নতুন করে আর্থিক দাওয়াই দেওয়া হবে কি না, তাও নিশ্চিত নয়। সে সবের প্রভাবও পড়েছে ভারতের শেয়ার বাজারেও, মত বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sensex BSE
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE