খুশি: সেনসেক্স ৪০,০০০ ছোঁয়ায় বিএসইতে কেক কাটা। রয়টার্স
বুথফেরত সমীক্ষায় মোদী সরকারের ফেরা নিশ্চিত হতেই সোমবার লাফ দিয়েছিল শেয়ার বাজার। সেনসেক্স উঠেছিল ১,৪২২ পয়েন্ট। নিফ্টি ৪২১ পয়েন্ট। মনে হয়েছিল, হয়তো স্থায়ী সরকার ফিরবে বলে ঠিকই করে নিয়েছে বাজার। ফলে তা আর তেমন উঠবে না। কিন্তু সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে বৃহস্পতিবার ভোট গণনার দিনে ফের উত্থান দেখল সূচক। এই প্রথম সেনসেক্স ছাড়াল ৪০,০০০-এর গণ্ডি। নিফ্টিও পেরোল ১২,০০০। শেষ পর্যন্ত সেই উচ্চতা বাজার ধরে রাখতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু উত্থানে ছেদ পড়েনি। নিট ফল? শুক্রবারও বেড়ে সপ্তাহ শেষে সেনসেক্স পৌঁছোয় ৩৯,৪৩৫ অঙ্কে। নিফ্টি ১১,৮৪৪-তে।
সূচকের উত্থানে লগ্নিকারীরা খুশি হলেও, এখনই সব দুশ্চিন্তা পুরো কেটে গিয়েছে, তা নয়। বিশেষত অর্থনীতির অবস্থা যখন খুব একটা ভাল নয়। চিন্তা থাকছে বৃদ্ধির হার শ্লথ হওয়া নিয়ে। শিল্পের অবস্থা তথৈবচ। চোখ রাঙাচ্ছে মূল্যবৃদ্ধি। বিদেশে তেমন চাহিদা না-থাকার জেরে রফতানি বৃদ্ধির হারও ভাল নয়। সরাসরি না-হলেও চিন-মার্কিন শুল্ক যুদ্ধের প্রভাবও ভারতের উপরে পড়ার সম্ভাবনা। বেকারত্বের হারও চিন্তার কারণ। অর্থাৎ, ক্ষমতায় ফিরে নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে মোদী সরকারকে নতুন উদ্যমে কাজে নামতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর এই সব কারণেই অর্থমন্ত্রী কে হবেন, তার দিকে চোখ থাকবে বাজারের। কারণ, নতুন অর্থ মন্ত্রককে জোর দিতে হবে অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোয়, কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন পরিকাঠামো, কম দামি আবাসন তৈরির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে। বাজারের আশা, সরকার ঠিক মতো প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারলে উপকৃত হবে সিমেন্ট, ইস্পাত এবং গৃহ নির্মাণ-সহ বেশ কিছু শিল্প।
তার উপরে জুলাইয়ে পেশ করতে হবে পূর্ণাঙ্গ বাজেটও। অনেকের মতে, সেখানে ছাড় দেওয়া হতে পারে ব্যক্তিগত করে। সরল করা হতে পারে জিএসটি আইন। তৈরি হচ্ছে প্রত্যক্ষ কর বিধি। আশা, তার খসড়ায় করমুক্ত আয়ের সীমা ৩.৫ লক্ষ টাকা করার প্রস্তাব থাকতে পারে। উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী বাজেটে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করযোগ্য আয়ে করে পুরো রিবেটের কথা জানায় কেন্দ্র। তবে আয়করের স্তর বা হারে বদল করা হয়নি।
চিন্তা থাকলেও, সামগ্রিক ভাবে অবশ্য বাজার নিয়ে আশাবাদী লগ্নিকারীরা। মর্গ্যান স্ট্যানলির অনুমান, পরের বছর জুনে সেনসেক্স পৌঁছতে পারে ৪৫,০০০ অঙ্কে।
(মতামত ব্যক্তিগত)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy