টানা দু’দিন নামার পরে শুক্রবার কিছুটা ঘুরে দাঁড়াল শেয়ার বাজার। সেনসেক্স উঠল ৮৭.৫৩ পয়েন্ট। দাঁড়াল ৩২,২২৫.৪১ অঙ্কে। নিফ্টি ৫২.৭৫ পয়েন্ট বেড়ে থিতু হয়েছে ১০,০৬৬.৪০ অঙ্কে। ডলারের সাপেক্ষে টাকা এ দিন বেড়ে গিয়েছে আরও ১১ পয়সা। ফলে দিনের শেষে এক ডলার হয়েছে ৬৩.৫৮ টাকা। গত দু’বছরের মধ্যে এতটা উঁচুতে উঠতে দেখা যায়নি টাকার দামকে।
বিশেষজ্ঞেরা বারবারই বলছেন, বাজার এতটা উঁচু থাকলে, সংশোধনের নিয়ম মেনে যে কোনও মুহূর্তে তা পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়। আর সেই কারণেই বুধবারের ঋণনীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ ছাঁটলেও, তা আরও বেশি কমার প্রত্যাশা মেটেনি বলেই বাজার নেমে যায়। হতাশার সেই পতন জারি ছিল বৃহস্পতিবারও। টানা দু’দিনে সেনসেক্স পড়ে প্রায় ৩৩৭ পয়েন্ট।
শেয়ার বাজারমহলের একাংশেরও দাবি, আগামী দিনে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি চাঙ্গা হওয়ার ইঙ্গিত থাকলেও, বাজার এই মুহূর্তে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। কারণ, সেনসেক্স ৩২ হাজারে এবং নিফ্টি ১০ হাজারে এসেছে স্বাভাবিকের থেকে অনেক কম সময়। আর সূচকের বৃদ্ধির হারের সঙ্গে দেশের বৃদ্ধির হারের তেমন কোনও সামঞ্জস্যও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে তাঁদের আশঙ্কা, বড় পতন আসতে পারে যে কোনও সময়।
তবে শুক্রবারের উত্থানকে তুলে ধরে বিশেষজ্ঞদের আর এক অংশের যুক্তি, বাজারে এই মুহূর্তে যথেষ্ট পরিমাণে মজুত রয়েছে উপরে ওঠার নিজস্ব শক্তি। তাঁদের মতে, শেয়ারের দামে সংশোধন বা করেকশনও অল্প অল্প করে মাঝেমধ্যেই হচ্ছে। তবে হিসাব করলে দেখা যাবে যে, ওঠা এবং নামার নিট হিসাবে সূচকের গতি উপরের দিকেই রয়েছে। যে কারণে বেড়ে চলেছে সূচক। আবার তেমন ভয় নেই আচমকা বড় পতনেরও।
এ দিকে, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি আগের দিন ২৪ কোটি টাকার শেয়ার কিনলেও, এ দিন বিক্রি করেছে ৮৫০ কোটি টাকার। তবে ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলি এ দিন ১,০০০ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে। যা বাজার ওঠার বড় কারণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy