—প্রতীকী ছবি।
আগের দিনই ৬৩৬ পয়েন্ট ওঠার পরে শুক্রবার ফের ২৫৪.৫৫ অঙ্ক উঠল সেনসেক্স। নিফ্টিও বাড়ল। কিন্তু তা সত্ত্বেও উদ্বেগের মেঘ সরছে না শেয়ার বাজারের আকাশ থেকে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা। ঝিমিয়ে দেশের অর্থনীতি। তার উপরে অতি-ধনীদের উপরে বাজেটে চাপা বাড়তি সারচার্জের কবলে পড়েছে বাজারে টাকা ঢালা বিদেশি লগ্নিকারীদের একাংশ (ফরেন পোর্টফোলিয়ো ইনভেস্টর বা এফপিআই)। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেগতিক ঠেকায় বেশ কিছু দিন ধরেই মুখ ব্যাজার বাজারের। এতটাই যে, বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী রিটার্নের নিরিখে তা চলে গিয়েছে অন্যান্য দেশের বাজারের মধ্যে শেষ সারিতে।
দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরে এ পর্যন্ত সার্বিক ভাবে সেনসেক্সের আওতায় থাকা সংস্থাগুলির শেয়ার থেকে লগ্নিকরীদের রিটার্ন ৩.৫%। নিফ্টি থেকে ১.৫%। সেখানে ব্রাজিল, চিন, আমেরিকা ও ইউরোপের প্রধান বাজারগুলি থেকে লগ্নিকারীরা আয় করেছেন ৭%-১৮%।
এই ছবি বদলাতে এ দিন আর্থিক ক্ষেত্র এবং এফপিআইয়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দাবি উঠল, দীর্ঘ মেয়াদি মূলধনী লাভ কর কমানো হোক। ফিরে দেখা হোক ডিভিডেন্ড বণ্টনে বসা কর। সুরাহা দেওয়া হোক বিদেশি লগ্নিকারীদের।
বাজেটে অতি-ধনীদের উপরে যে সারচার্জ বসেছে, তার আওতায় পড়েছে অনেক এফপিআই। অর্থমন্ত্রী তা কমাতে পারেন, এই আশাতেই এই দু’দিন বাজার উঠেছে। সঙ্গত দিয়েছে শিল্পের ত্রাণ প্রকল্প পাওয়ার আশা। শিল্পপতি আদি গোদরেজের মতে, ওই সারচার্জ ফেরালে বাজারে আশ্বাসের বার্তা যাবে। অর্থমন্ত্রী কোনও আশ্বাস না দিলেও মন্ত্রক সূত্রের ইঙ্গিত, বাড়তি সারচার্জ সরতে পারে এফপিআইয়ের ঘাড় থেকে। মূলত যাদের টাকা ঢালার কারণে বাজেটের আগে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল সূচক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy