একলপ্তে উত্থান প্রায় ১১৯৭ পয়েন্ট। তাতেই বৃহস্পতিবার নতুন শিখরে পা রাখল সেনসেক্স। নজির গড়ে এই প্রথম পৌঁছে গেল ৭৫,৪১৮.০৪-এ। লেনদেনের মধ্যে ছুঁয়ে এল ৭৫,৪৯৯.৯১ আরও উঁচু শৃঙ্গও। লগ্নিকারীদের শেয়ার সম্পদ বাড়ল প্রায় ৪.২৮ লক্ষ কোটি টাকা। নজিরবিহীন ভাবে ২৩,০০০-এর দোরগোড়ায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে নিফ্টিও। লেনদেন চলাকালীন ২২,৯৯৩.৬০ ছুঁয়ে দিন শেষ করেছে ২২,৯৬৭.৬৫-এ।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, কেন্দ্রের ঘরে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড হিসেবে ২.১০ লক্ষ কোটি টাকা আসবে শুনেই তেতে উঠেছেন লগ্নিকারীরা। কারণ, এটা সরকারের পড়ে পাওয়া বাড়তি আয়। যা তাদের খরচ করার ক্ষমতা তো বাড়াবেই। সেই সঙ্গে রাজকোষ ঘাটতিকেও আরও কম রাখা যাবে বলে আশা তৈরি হয়েছে।
ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়াল বলছেন, ‘‘রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সরকারকে যে টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে, তাতে শেয়ার বাজার উৎসাহিত। কারণ লগ্নিকারীরা মনে করছেন এতে ঘাটতি কমলে লাভবান হবে অর্থনীতি। যা তাঁদের শেয়ার থেকে পাওয়া লাভের পাল্লা আরও ভারী করবে। বাজারে আপাতত বড় ধরনের ধস নামার কোনও আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে না।’’ যদিও এই প্রত্যাশার মধ্যে দাঁড়িয়েও ভারতে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির লাগাতার শেয়ার বিক্রি চিন্তার বলে মনে করছেন তিনি।
বাজার বিশেষজ্ঞ কমল পারেখের অবশ্য দাবি, ‘‘শেয়ার বাজারের এতটা চড়ে যাওয়ার আসল কারণ হল, সেখানে নগদ টাকার জোগান অনেকখানি বেড়ে যাওয়া। বিদেশি লগ্নিকারীরা শেয়ার বিক্রি করলেও, মিউচুয়াল ফান্ড-সহ দেশীয় আর্থিক সংস্থাগুলি দু’হাত ভরে তা কিনছে। ফলে এগোচ্ছে সূচক।’’
সংশ্লিষ্ট মহলের আরও অনেকেরই বক্তব্য, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের কেন্দ্রকে রেকর্ড ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা উত্থানের অন্যতম জ্বালানি হতে পারে। কারণ, তা অর্থনীতির এবং বাজারের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। তবে ভারতের শেয়ার বাজার বেশ কিছু দিন ধরেই চাঙ্গা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)