আর্থিক বৃদ্ধি, পরিকাঠামো, শিল্প বৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধি— অর্থনীতির একের পর এক ক্ষেত্রে হতাশাজনক পরিসংখ্যান উদ্বেগ বাড়িয়েছে শিল্পের। ভোটের মুখে অস্বস্তি বাড়ছে মোদী সরকারের। নাগাড়ে তোপ দাগছেন বিরোধীরা। তা সত্ত্বেও উত্থান বহাল বাজারে। বৃহস্পতিবার সেনসেক্স খুব সামান্য বাড়লেও, এই নিয়ে টানা চার দিনে তা পেরিয়েছে হাজার পয়েন্ট। এ দিন দাঁড়িয়েছে ৩৭,৭৫৪.৮৯ অঙ্কে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, সূচক দ্রুত বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঝুঁকিও। উত্থান হচ্ছে মূলত বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির শেয়ার কেনার সুবাদে। কারণ তাদের আশা, আগামী লোকসভা ভোটে কেন্দ্রে স্থায়ী সরকার তৈরি হবে।
যদিও দেকো সিকিউরিটিজের কর্ণধার অজিত দে বলেন, ‘‘স্থায়ী সরকার হবে কি না হলফ করে বলা কঠিন। অথচ এই আশাতেই পুঁজি ঢালছে বিদেশি লগ্নিকারীরা। এরা কেউই দীর্ঘ মেয়াদের বিনিয়োগকারী নয়। যে কোনও সময় লগ্নি তুলে নিতে পারে। ক্ষুদ্র লগ্নিকারীর সাবধানে পা ফেলা উচিত।’’
উত্থান
• চলতি সপ্তাহে চার দিনে সেনসেক্স উঠেছে ১,০৮৩.৪৬ পয়েন্ট।
• এ মাসের আট দিনে নিট ১,৮৮৪.৭৩ পয়েন্ট।
কারণ
• বিদেশি আর্থিক সংস্থার টানা লগ্নি। গত পাঁচ দিনেই ১০,০০০ কোটির বেশি।
বিশেষজ্ঞদের বার্তা
• যত শেয়ারের দাম বাড়ছে, কমছে তার থেকে অনেক বেশি সংখ্যকের।
• বিদেশি আর্থিক সংস্থার লগ্নি আচমকা সরলে পতন আসতে পারে।
• সূচক উঠলেও ভোট পর্যন্ত বহল থাকবে অনিশ্চয়তা।
স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখও বলেন, ‘‘সার্বিক ভাবে বাজার বাড়ছে না। যত শেয়ারের দাম বাড়ছে, কমছে তার থেকে বেশি সংখ্যকের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy