প্রতীকী ছবি।
হোলি উপলক্ষে সোমবার বাজার বন্ধ ছিল। তার পরের দিনই বিপুল উত্থানের মুখ দেখল শেয়ার সূচক। মঙ্গলবার এক ধাক্কায় সেনসেক্স উঠল ১১০০ পয়েন্টেরও বেশি। ৩৩০ পয়েন্টের বেশি বেড়েছে নিফ্টি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বাজারের উত্থানে (সোমবার উঠলেও, এ দিন খোলার পরে অবশ্য পড়েছে আমেরিকার বাজার) উৎসাহিত হয়েছেন লগ্নিকারীরা। যার প্রভাব পড়েছে ভারতেও।
গত সপ্তাহের প্রথম দিকে বেশ ভাল রকম পড়েছিল শেয়ার বাজার। তার পরে শুক্রবার সেনসেক্স ৫৬৮ পয়েন্টের মতো বৃদ্ধি পায়। সে দিন এবং মঙ্গলবার মিলিয়ে বিএসই-র লগ্নিকারীরা ফিরে পেয়েছেন ৬ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ। যদিও এ দিন ডলারের সাপেক্ষে পড়েছে টাকার দর। প্রতি ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৩.৩৮ টাকা।
বাজার মহলের মতে, আমেরিকায় পরিকাঠামো ক্ষেত্রে যে ৩ লক্ষ কোটি ডলারের লগ্নির কথা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তা উৎসাহিত করেছে লগ্নিকারীদের। এর জেরে সারা বিশ্ব জুড়েই বেড়েছে শেয়ার সূচক। ভারতে বড় শেয়ার তো বটেই, চাহিদা বেড়েছে মাঝারি ও ছোট শেয়ারেরও।
দেকো সিকিউরিটিজ়ের ডিরেক্টর আশিস নন্দীর কথায়, অর্থবর্ষ শেষে সাধারণত অনেক লগ্নিকারীই হাতের শেয়ার বেচে টাকা তুলে নেন। এখন সেই পালা শেষ। বরং লগ্নিকারীরা আগামী অর্থবর্ষের উত্থানের আশায় শেয়ার কিনতে নামায় বেড়েছে সূচক। এ দিন বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ৭৬৯.৪৭ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে। আর দেশীয় সংস্থাগুলি ২১৮১.০১ কোটির। তার সঙ্গেই কিছুটা সংশোধন হওয়া বাজারে কম দামে শেয়ার কেনার সুযোগও লগ্নিকারীরা ছাড়তে চাননি বলে জানাচ্ছেন বিএনকে ক্যাপিটাল মার্কেটসের এমডি অজিত খণ্ডেলওয়াল। তবে দুই বিশেষজ্ঞই জানাচ্ছেন, সংক্রমণ ফের বাড়ায় পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের জায়গায় ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়লে শিল্পোৎপাদন ধাক্কা খেতে পারে। যার প্রভাব পড়বে সামগ্রিক অর্থনীতিতে। যা বাজারকে টেনে নামাতে পারে। ফলে বিশেষ করে ছোট লগ্নিকারীদের সতর্ক থাকতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy