উচ্ছ্বাস: বৃহস্পতিবার সকালেই ৪০ হাজার পার করে সেনসেক্স। সেই উপলক্ষে কেক কাটা মুম্বইয়ের বিএসই ভবনে। রয়টার্স
শুরুতে বিশাল লাফ। শেষে মুনাফার টাকা তোলার জেরে পতন। বৃহস্পতিবার ভোট গণনার দিনে এই রকমই ছিল শেয়ার বাজারের ছবিটা।
কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার ফিরতে চলেছে, সেই ছবি স্পষ্ট হতেই বৃহস্পতিবার প্রায় হাজার পয়েন্ট বেড়ে রেকর্ড ৪০,১২৪.৯৬ অঙ্কে পৌঁছয় সেনসেক্স। ১২ হাজারে পৌঁছে নজির গড়ে নিফ্টিও। কিন্তু দিনের শেষে ২৯৮.৮২ পয়েন্ট পড়ে সেনসেক্স থামে ৩৮,৮১১.৩৯ অঙ্কে। নিফ্টি পড়ে ৮০.৮৫ পয়েন্ট। ডলারের সাপেক্ষে পড়েছে টাকার দামও। এক ডলার ৩৬ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৭০.০২ টাকা।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সিকিউরিটিজ় মার্কেটসের প্রাক্তন ডিরেক্টর সন্দীপ ঘোষের মতে, বাজারের অতটা ওঠার যুক্তি ছিল না। ফাটকাবাজদের লেনদেনেই দোলাচল দেখেছে বাজার।
ভোটের ফলে বাজার খুশি হলেও বিরোধীরা দুর্বল হয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখ বলেন, ‘‘সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় সংসদে সিদ্ধান্ত দ্রুত পাশ করাতে পারবে বিজেপি। কিন্তু ভুল সিদ্ধান্ত রোখার জন্য দুর্বল বিরোধীরা কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারবে না।’’ দেকো সিকিউরিটিজ়ের কর্ণধার অজিত দে-র দাবি, বাজারে নগদের জোগানের ব্যবস্থা করতে হবে নতুন সরকারকে।
শিল্প মহলও মোদীর জয়কে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের মতে, এতে আগের সরকারের কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সহজ হবে। সংস্কার ও বৃদ্ধির চাকায় গতি ফিরবে। বণিকসভা সিআইআইয়ের ডিজি চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশা, নতুন সরকার শিল্পের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বৃদ্ধির হার বাড়াতে পারবে। শ্রেয়ী ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফিনান্সের চেয়ারম্যান হেমন্ত কানোরিয়ার মতে, যে সব পরিকল্পনা অপূর্ণ ছিল, তা পূরণ করা সহজ হবে। মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রার এমডি পবন গোয়েন্কার মতে, সরকারি খরচ বৃদ্ধি জরুরি। ইন্ডিয়ান চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রুদ্র চট্টোপাধ্যায় অগ্রাধিকার দিচ্ছেন বেসরকারি ক্ষেত্রের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy