এক দিকে বিদেশি লগ্নিকারীদের শেয়ার কেনার হিড়িক, অন্য দিকে দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতির ব্যাপারে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস, এই দুইয়ের জেরে চাঙ্গা হয়ে উঠল শেয়ার বাজার। মঙ্গলবার এক লাফে সেনসেক্স বাড়ে ৪৪০.৩৫ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক থামে ২৮,৩৪৩.০১ অঙ্কে। যা গত ১৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফ্টিও ১৩৬.৯০ পয়েন্ট বেড়ে থিতু হয় ৮,৭৪৪.৩৫ অঙ্কে।
এ দিন বেড়েছে টাকার দামও। ডলারের সাপেক্ষে টাকা ১৬ পয়সা বাড়ায় বিদেশি মুদ্রার বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬৭.০২ টাকা। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি বাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোয় দেশে ডলারের জোগান বেড়েছে, যা টাকার দাম বাড়ার অন্যতম কারণ বলে বিদেশি মুদ্রার বাজার সূত্রের খবর।
চলতি অর্থবর্ষে বর্ষা ভাল হচ্ছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হলে চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা। এই সবের পরিপ্রেক্ষিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৬ শতাংশে ঠেকতে চলেছে। স্বাভাবিক কারণেই শেয়ার বাজার এতে খুশি।
এই বিষয়গুলি লক্ষ করে বিদেশি সংস্থাগুলিও বাড়িয়েছে লগ্নির বহর। গত সোমবারই ওই সব সংস্থা ভারতের বাজারে ঢেলেছে ২৮৬.৫২ কোটি টাকা। যার অবশ্যম্ভাবী ফল হিসেবে দ্রুত উপরে উঠতে শুরু করেছে সূচকের পারা।
বিশেষজ্ঞদের অনেকের অবশ্য মত, বাজারে এ বার দামে সংশোধন হওয়ার সময় এসেছে। স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখ বলেন, ‘‘সংশোধন শেয়ার বাজারের অঙ্গ। বেশ কিছু দিন ধরে বাড়ছে বাজার। তাই যে কোনও সময়েই কারেকশন আসতে পারে। তবে তা কাটিয়ে সূচক যে ফের উঠবে, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’’