লগ্নিকারীরা মনে করছেন পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) চালুর প্রক্রিয়া আরও গতি পাবে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া জিএসটি পরিষদের তিন দিনের বৈঠকে। আর সেই আশার হাত ধরেই এ দিন এক লাফে ৫২০.৯১ পয়েন্ট উঠে গেল সেনসেক্স। দাঁড়াল ২৮,০৫০.৮৮ অঙ্কে। সূচক নিফ্টিও ১৫৭.৫০ পয়েন্ট উঠে থিতু হয়েছে ৮,৬৭৭.৯০ অঙ্কে। গত পাঁচ মাসের মধ্যে এক দিনের লেনদেনে এতটা বাড়তে দেখা যায়নি তাদের।
ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামও এ দিন বেড়েছে ১৫ পয়সা। এক ডলার দাঁড়িয়েছে ৬৬.৭৩ টাকায়।
জিএসটি পরিষদের এ বারের বৈঠকেই করের হার ঠিক হওয়ার কথা। আগামী এপ্রিল থেকেই দেশ জুড়ে এই অভিন্ন করের জমানা শুরু করার লক্ষ্যে এ বারের বৈঠক শেষে কেন্দ্র এই নিয়ে ভাল কিছু ঘোষণা করতে পারে বলে মনে করছেন লগ্নিকারীরা। আর সেই আশাতেই তাঁরা শেয়ার কিনতে থাকেন। ফলে এত বেশি বেড়ে যায় সূচক।
বস্তুত, জিএসটি চালুর প্রক্রিয়া সত্যিই কিছুটা গতি পেয়েছে এ দিনের বৈঠকে। সেখানে চার রকম হারে কর বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র।
জিএসটির পাশাপাশি অবশ্য সূচকের উত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে আরও কিছু বিষয়। এগুলি হল—
—মূল্যবৃদ্ধির হার কমায় আগামী ঋণনীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানোর আশা। যা ঋণ নেওয়ার খরচ ছাঁটতে সাহায্য করবে।
—ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামের ঘুরে দাঁড়ানো।
—আমেরিকায় উৎপাদন সূচকের অপ্রত্যাশিত পতনের কারণে সে দেশে সুদ বাড়ার আশঙ্কায় কিছুটা ভাটা।
—এসারের মতো কয়েকটি সংস্থার কিছু ব্যবসার রাশ বিশেষত বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। এতে দেশে বিদেশি লগ্নি ঢুকবে। এবং হাতে আসা টাকার একাংশ দিয়ে এসার ব্যাঙ্ক ঋণ চোকাতে পারবে। কারণ, তাদের অনেকেরই ঋণের বড় অংশ ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ হয়ে গিয়েছে।
বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির শেয়ার কেনাও এ দিন সূচককে গতি জোগায়। যা আরও প্রভাবিত হয় বিশ্বের অধিকাংশ বাজারের উত্থানের খবরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy