ছবি সংগৃহীত।
করোনার টিকা বাজারে আসার দিন গুনতে গুনতে সেনসেক্স সাড়ে ৪৭ হাজার পেরিয়ে এসেছিল। সোমবার তা ৪৮ হাজারের মাইলফলকও পার হল। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ভারতে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত ছাড়পত্র পাওয়ার খবরেই এ দিন প্রায় ৩০৮ পয়েন্ট লাফিয়েছে সূচকটি। উত্থানের পারদ এ বার হয়তো আরও চড়বে টিকাগুলি এ মাসেই বাজারে আসার সম্ভাবনা থাকায়। কারণ অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর পথে এটা গুরুত্বপূর্ণ মোড়। যে কারণে লগ্নিকারীরা পুঁজি ঢালতে ভয় পাচ্ছেন না। সেনসেক্স এ দিন এই প্রথম ৪৮,১৭৬.৮০ অঙ্কে পৌঁছেছে। নিফ্টি ১১৪.৪০ উঠে ছুঁয়েছে ১৪,১৩২.৯০-এর নতুন শিখর।
এই নিয়ে ন’দিন টানা উঠল বাজার। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, অতিমারিকে থামানোর প্রতিষেধকে ভর করে বিশ্ব বাজারই চাঙ্গা। ভারতও তার শরিক। ছাড়পত্র পাওয়ার পরে টিকার বাজারে আসা সময়ের অপেক্ষা।
করোনার টিকাই অর্থনীতিকে পুরো ছন্দে ফেরানোর জ্বালানি, বলছেন বিএনকে ক্যাপিটাল মার্কেটসের এমডি অজিত খণ্ডেলওয়াল। তবে মাঝে-মধ্যে সংশোধনজনিত পতন হলে সূচকের উত্থানের জমি পোক্ত হবে বলে মত তাঁর। অজিতের কথায়, ‘‘অর্থনীতির সঙ্কট কাটার ইঙ্গিত
স্পষ্ট হচ্ছে। ভ্যাকসিন বাজারে আসা যেন রাহুমুক্তির পথ। বিদেশি আর্থিক লগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিনিয়োগ ঢুকছে স্রোতের মতো। তাই দেশে এখনই বড় পতন হবে বলে মনে হয় না।’’
তা হলে এই সপ্তাহেই কি সেনসেক্স ৫০ হাজারে পৌঁছবে? প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে গোটা দেশে। একাংশ বলছেন, একটানা উঠে ৫০ হাজারে না-পৌঁছনোই মঙ্গল। বরং রয়ে-সয়ে যাক। তাতে স্থিতিশীলতা আসবে। অন্য অংশের মতে, বাজার তাৎক্ষণিক ঘটনায় সাড়া দেয় দ্রুত। ফলে ৫০ হাজারে তা পা রাখল বলে।
ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়ালের মতে, ‘‘শুধু টিকা নয়, কেন্দ্রও এতদিনে হাত খুলে খরচের বার্তা দিচ্ছে। মনে হয় বাজেটে অর্থনীতির জন্য বহু সুখবর থাকবে। সেই প্রত্যাশাও সূচকের উত্থানের অন্যতম জ্বালানি।’’ আর এলকেপি সিকিউরিটিজ়ের গবেষণা বিভাগের প্রধান এস রঙ্গনাথনের দাবি, ‘‘এ মাসেই বাজারে প্রতিষেধক এসে যেতে পারে, এই সম্ভাবনায় লগ্নির উৎসাহ বেড়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি, ধাতু এবং ওষুধ সংস্থাগুলির শেয়ার বাজারকে ঠেলে তুলেছে এ দিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy