অক্টোবরে ইপিএফে নতুন ৭.৬৮ লক্ষ গ্রাহক যোগ দিয়েছিলেন। যা বেশ কয়েক মাসে সর্বনিম্ন। প্রতীকী ছবি।
গত অক্টোবরে দেশের সংগঠিত ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল। নভেম্বরে তা কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও অবস্থা মোটের উপরে স্বস্তিদায়ক নয়। বুধবার পরিসংখ্যান মন্ত্রক কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ) এবং ইএসআইয়ের যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।
কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে ইপিএফে নতুন ৭.৬৮ লক্ষ গ্রাহক যোগ দিয়েছিলেন। যা বেশ কয়েক মাসে সর্বনিম্ন। নভেম্বরে যুক্ত হন ৮.৯৯ লক্ষ জন। যদিও তা ২০২২ সালের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১ লক্ষ কম। গত বছর প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক যোগ দেন জুলাইয়ে (১১.৫ লক্ষ)। কেন্দ্রের হিসাব, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২-এর নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৬.০৯ কোটি গ্রাহক এসেছেন ইপিএফে। পাশাপাশি, অক্টোবরে ইএসআইয়ে ১১.৯ লক্ষ জন যুক্ত হন। পরের মাসে নতুন গ্রাহক বেড়ে হন ১৪.২ লক্ষ। অর্থাৎ, উন্নতির লক্ষণ এখানেও। কিন্তু ইপিএফের মতো এই প্রকল্পেও নভেম্বরে যোগদানের সংখ্যা অগস্ট (১৪.৮ লক্ষ) এবং সেপ্টেম্বরের (১৪.৫ লক্ষ) চেয়ে কম।
এই দুই প্রকল্পের পরিসংখ্যানকে কেন্দ্র অনেক সময়ে কর্মসংস্থানের অন্যতম মাপকাঠি বলে দাবি করে। যদিও অর্থনীতিবিদদের একাংশের বক্তব্য, এই দাবি পুরোপুরি ঠিক নয়। কারণ, বহু মানুষ অসংগঠিত ক্ষেত্র থেকেও সংগঠিত ক্ষেত্রে যোগ দিয়ে প্রকল্পগুলির গ্রাহক হন। তা ছাড়া গত কয়েক বছরে দেশে বিপুল কর্মহানির ছবি আসলে লুকিয়ে রয়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্র এবং ক্ষুদ্র শিল্পে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy