প্রতীকী ছবি।
পরীক্ষামূলক ভাবে রাজ্যে পাহাড়ের ঢালে জাফরান চাষ হচ্ছে। ড্রাগন, অ্যাভোকাডোর মতো বিদেশি ফল ফলানোর পাইলট প্রকল্প চলার পরে কার্শিয়াঙে বসানো হয়েছে আখরোটের চারা। লক্ষ্য, পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় আনাজের ফলন আরও বাড়ানো। রাজ্যে চাহিদা আছে কিন্তু উৎপাদন একেবারেই হয় না কিংবা কম হয়, এমন আনাজ, ফল বা ফুল জোগানের ক্ষেত্রে এ বার পশ্চিমবঙ্গকে এ ভাবেই স্বনির্ভর করতে কোমর বেঁধেছে খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতর।
বুধবার ভারত চেম্বারে এক সভায় ওই দফতরের মন্ত্রী সুব্রত সাহা এবং দফতরের প্রধান তথা রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুব্রত গুপ্তর দাবি, রোজকার জীবনে জরুরি কৃষিপণ্য হোক বা বিশেষ কিছু ফুল, ফল— অনেক কিছুই পশ্চিমবঙ্গকে অন্য রাজ্য বা অন্য দেশ থেকে বহুল পরিমাণে আমদানি করে প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম জাফরান, ড্রাগন ফল, অ্যাভোকাডো, আখরোট, কাজু বাদাম, পেঁয়াজ ইত্যাদি। তাই সে সব রাজ্যেই চাষ করার উপরে জোর দিচ্ছে খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতর। তাঁদের দাবি, এ ভাবে সরবরাহ বাড়াতে পারলে ভবিষ্যতে খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পে জোগান শৃঙ্খলও মজবুত করা যাবে। এই শিল্পের বিস্তারে আধুনিক হিমঘর, পরীক্ষাগার-সহ জরুরি নির্মাণে শিল্পকে পাশে থাকার ডাক দিয়েছেন সচিব।
সরকারি সূত্রের দাবি, বঙ্গে পেঁয়াজের মতো পণ্যের এক-তৃতীয়াংশ ফলে রবি মরসুমে। মন্ত্রী জানান, ঘাটতি কমাতে তাই খরিফ মরসুমেও পেঁয়াজ চাষ শুরু করার জন্য নাগপুর থেকে বিশেষ প্রজাতির চারা এনে সাতটি জেলার কিছু চাষিকে দিয়েছেন তাঁরা। মাস দেড়েক পরে ফলন হওয়ার কথা। তিন বছরের মধ্যে চাহিদার প্রায় পুরোটাই এখানে উৎপাদন হোক, লক্ষ্য তাঁদের। তার পরে বাংলাদেশেও সেই পণ্য রফতানি করার পরিকল্পনা রয়েছে। ঠিক সেই কারণেই সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় কাজুবাদাম চাষে জোর দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy