—প্রতীকী ছবি।
অস্থিরতা ছিলই। উঁচু বাজারে হাতের শেয়ার বেচে মুনাফা ঘরে তোলার চাপও ছিল। যে কারণে মঙ্গল এবং বুধবার সেনসেক্স পড়েছে। তবে বৃহস্পতিবার তার হাজার পয়েন্ট ছাপানো ধস কিছুটা অপ্রত্যাশিত, মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। দেশে লোকসভা ভোটের মধ্যেই একলপ্তে ১০৬২.২২ (১.৪৫%) পয়েন্ট মুখ থুবড়ে পড়ে এ দিন ফের ৭২ হাজারের ঘরে নেমেছে সেনসেক্স। তিন দিনের মোট পতন ১৪৯১.৩৭। আর এক সূচক নিফ্টিও ৩৪৫ পয়েন্ট বা ১.৫৫% পড়েছে এবং ফিরে এসেছে ২১ হাজারের ঘরে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিদেশি লগ্নিকারীদের লাগাতার শেয়ার বিক্রি ভারতের বাজারকে টেনে নামানোর অন্যতম কারণ। ডেকো সিকিউরিটিজ়-এর আশিস নন্দীর মতে, আমেরিকায় সুদ কমার নামগন্ধ নেই। তাই চাঙ্গা বন্ড বাজার। এ দেশ থেকে শেয়ারের লগ্নি সে জন্য সরে যাচ্ছে সেখানে। তার উপর আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সুদ ছাঁটাইয়ের পথে না হাঁটলে ভারত-সহ অনেক দেশই হাত গুটিয়ে রাখবে। অন্য দিকে, ডলার তেতে রয়েছে। কারণ, ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কটে কাহিল লগ্নিকারীরা সুরক্ষার খোঁজে তাতে লগ্নি করছেন। আর এই সব কিছু মিলিয়ে ভারতের উঁচু বাজারে সংশোধনের জায়গা তৈরি হচ্ছে। বহু শেয়ারের মাত্রাছাড়া দাম কিছুটা নেমে যুক্তিযুক্ত হচ্ছে।
তবে বিশেষজ্ঞ বিনয় আগরওয়াল বলছেন, ‘‘প্রথম তিন দফায় দেশে ভোটদানের হার কম থাকায় বর্তমান শাসক দলের ফল প্রত্যাশিত হবে না বলে জল্পনা ছড়িয়েছে শেয়ার বাজারে। লগ্নিকারীরা ধন্দে পড়ে বিপুল শেয়ার বিক্রি করেছেন। বাজার আসলে সব সময়েই স্থায়ী শক্তিশালী সরকার চায়। সে ব্যাপারে কোনও দ্বিধার ইঙ্গিত পেলেই প্রতিক্রিয়া দেখায়।’’
বিশেষজ্ঞ কমল পারেখের বার্তা, ‘‘বলা হয়, বাজারের প্রতিটি পতন লগ্নির সুযোগ খোলে। তবে আমি এখন বলব সাধারণ লগ্নিকারীদের আরও একটু অপেক্ষা করতে। কারণ সূচক আরও কিছুটা পড়তে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy