কোনও সংস্থার হিসাব-নিকাশে গোলমাল ধরা পড়ার পরে অনেক সময়ই দেখা যায় সেখানকার হিসাব পরীক্ষকেরা (অডিটর) পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, এমন ক্ষেত্রে ইস্তফা দিলেও রেহাই মিলবে না। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে চালানো হবে তদন্তও। তার আগে এ ব্যাপারে মুম্বই হাই কোর্টের দেওয়া এক রায়কে খারিজ করে শীর্ষ আদালত। হাই কোর্ট বলেছিল, ইস্তফা দিলে সংশ্লিষ্ট অডিটরের দায়িত্ব শেষ হবে।
যে ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের এই রায় সেটি, দেউলিয়া হওয়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিজ়িং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের (আইএলঅ্যান্ডএফএস)। সংস্থার অডিটর ছিল ডেলয়েট হাসকিন্স অ্যান্ড সেলস এবং কেপিএমজির সংস্থা বিএসআর অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস। আইএলঅ্যান্ড এফএসের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু হলে ওই দুই অডিট সংস্থা ইস্তফা দেয়। তদন্তকারী সংস্থা তাদের বিরুদ্ধেও প্রতারণার মামলা করলে, ইস্তফা দেওয়ার কারণ দেখিয়ে মুম্বই হাই কোর্ট তা খারিজ করে। যার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্র এবং তদন্তকারী সংস্থা এসএফআইও। এ দিন দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলে, হাই কোর্টের রায় ছিল ত্রুটিপূর্ণ। অডিটরেরা ইস্তফা দিলেও কোম্পানি আইনের ১৪০(৫) ধারা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হবে না। প্রতারণার সঙ্গে তারা যুক্ত ছিল কি না, তদন্ত হবে তা নিয়ে। বেঞ্চের ব্যাখ্যা, তা হলে তো হিসাবে গরমিল ধরা পড়লেই পরীক্ষকেরা দায়িত্ব এড়াতে ইস্তফা দেবে। অথচ আইন প্রণয়নকারীদের উদ্দেশ্য তা ছিল না।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)