বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির চেয়ারম্যান-সহ উচ্চপদস্থদের চাকরির আবেদনের সময়েই তাঁদের নীতিগত স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিশ্চিত করার পরামর্শ দিল নীতি নির্ধারণ কমিটি। জানাল, সেবির কাজের সঙ্গে আবেদনকারীর আর্থিক, ব্যক্তিগত বা অন্য কোনও স্বার্থের সংঘাত হতে পারে কি না, তা বাধ্যতামূলক ভাবে জানাতে হবে সেই সময়েই। রিপোর্টে কমিটি বলেছে, নিয়ন্ত্রণ সংস্থায় এই ধরনের উঁচু পদে আসীন সকলে যেন জনসমক্ষে নিজেদের সম্পত্তি এবং দায়ের কথা তুলে ধরেন। রিপোর্টটি ১০ নভেম্বর সেবির চেয়ারম্যান তুহিনকান্ত পাণ্ডের কাছে জমা দিয়েছে তারা। উচ্চপদস্থদের দামি উপহার গ্রহণ করা, অবসরের পরে দু’বছর কোনও পদে যোগ না দেওয়া, কর্মী যাতে নির্বিঘ্নে অনিয়মের অভিযোগ জানাতে পারেন তার ব্যবস্থা করা এবং চিফ এথিক্স অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগের সুপারিশও করেছে ওই কমিটি।
যে সব পদের ক্ষেত্রে ওই সুপারিশ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে সেবির চেয়ারম্যান, পর্ষদের সব সময়ের সদস্য ও চিফ জেনারেল ম্যানেজারেরা। তবে নিয়মিত ভাবে সেবির নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত না থাকায় পর্ষদের আংশিক সময়ের সদস্যরা থাকবেন বাধ্যবাধকতার বাইরে।
উল্লেখ্য, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারে কারচুপির অভিযোগ করার পাশাপাশি বছরখানেক আগে সেবির প্রাক্তন চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ করেছিল আমেরিকার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। অভিযোগ ছিল, আদানিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর সময় বিদেশে ওই গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত এক তহবিলে লগ্নি ছিল বুচ এবং তাঁর স্বামীর। ওঠে আরও কিছু অভিযোগও। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই প্রেক্ষিতে কমিটির পরামর্শ তাৎপর্যপূর্ণ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)