শুল্ক যুদ্ধ এত দিন সীমাবদ্ধ ছিল আমেরিকা ও চিনের মধ্যে। চাপ বাড়ছিল মেক্সিকো, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপরেও। শুল্ক বসানো এবং রফতানিতে সুবিধা তোলার পাল্টা হিসেবে রবিবার আমেরিকা থেকে আসা ২৮টি পণ্যে ভারত শুল্ক বসানো বা বাড়ানোয় দুই দেশের মধ্যেও চাপানউতোরের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তার ফলেই টানা চতুর্থ দিন পড়ল এ দেশের শেয়ার বাজার। নামল ৩৯,০০০-এর নীচে।
সোমবার ৪৯১.২৮ পয়েন্ট পড়ে সেনসেক্স থেমেছে ৩৮,৯৬০.৭৯ অঙ্কে। নিফ্টি ১৫১.১৫ পয়েন্ট পড়ে ১১,৬৭২.১৫ অঙ্কে থিতু হয়েছে। এক দিনেই লগ্নিকারীরা হারিয়েছেন ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ। গত চার দিনে সেনসেক্স খুইয়েছে ৯৮৯.৬৭ পয়েন্ট। নিফ্টি ৩০৯.১৫। সূচকের পাশাপাশি ডলারের সাপেক্ষে পড়েছে টাকার দামও। এ দিন ডলারের দর ১১ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯.৯১ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, শুল্ক যুদ্ধের ধাক্কা সারা বিশ্বের বাজারে লেগেছে আগেই। পাশাপাশি এ দেশ থেকে রফতানি করা ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যে শুল্ক চাপিয়েছিল আমেরিকা। এর জবাবে এ বার ভারতও আমেরিকা থেকে আমদানি করা ২৮টি পণ্যের উপরে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে। দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের এই উত্তাপের বিরূপ প্রভাবই বাজারে পড়েছে বলে বলে মনে করছেন তাঁরা।
যদিও ভারতের শেয়ার বাজারে এই প্রভাব সাময়িক বলে মনে করছেন অ্যাক্সিস মিউচুয়াল ফান্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও চন্দ্রেশ নিগম। তাঁর কথায়, ‘‘বৃদ্ধি, শিল্পোৎপাদনের মতো আর্থিক উন্নতির মাপকাঠিগুলির অবস্থান যা-ই হোক না কেন, ভারতের শেয়ার বাজার যে ক্রমশ চাঙ্গা হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ, ভারতের বৃদ্ধির হার এখনও অন্যান্য দেশের থেকে বেশি। এর ইতিবাচক প্রভাব শেয়ার বাজারে পড়তে বাধ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy