এটিএম বন্ধ। ঝাঁপ পড়েছে ব্যাঙ্কেও।
একে মাসের শেষ, তার উপর দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে ব্যাঙ্ক, এটিএমের ঝাঁপ বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বড় অঙ্কের টাকার লেনদেন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ‘ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন’-এর আওতায় থাকা ৯টি সংগঠন ধর্মঘট ডেকেছে।
এই ধর্মঘটের জেরে দেশ জুড়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রায় ২ লাখ এটিএমের ঝাঁপ বন্ধ রয়েছে। রাজ্যে সেই সংখ্যা প্রায় ২১ হাজারের কাছাকাছি। শুধু তাই নয়, শুধুমাত্র রাজ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রায় ৯ হাজার শাখা বন্ধ রয়েছে। যার ফলে টাকা তুলতে তীব্র হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ওই সংগঠনের দাবি, ধর্মঘটে ব্যাঙ্ক এবং এটিএম বন্ধ থাকলেও, গ্রাহকেরা ‘নেট ব্যাঙ্কিং’-এর সুবিধা নিতে পারেন। তাতে কোনও সমস্যা হবে না।
তবে গ্রাহকদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত থেকেই কলকাতায় বেশ কিছু এটিএমের ঝাঁপ পড়ে যায়। টাকা তুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন গ্রাহকেরা। তাঁদের আশঙ্কা, শুক্রবার ধর্মঘট উঠলেও, এটিএম-এ টাকা থাকবে তো? একেই মাসের শেষ। তার উপর এই ধর্মঘট। ব্যাঙ্ক খুললেও, ভোগান্তির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। যদিও ‘ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন’-এর তরফে জানানো হয়েছে, সমস্যা হওয়ার কোনও কারণ নেই। এটিএমে যথেষ্ট টাকা মজুত রয়েছে। শুক্রবার থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন : ১৬ দিন ধরে বাড়ার পর, ১ পয়সা করে কমল পেট্রল-ডিজেলের দাম
আরও পড়ুন: ডাক সেবকদের ধর্মঘট, গ্রামে বন্ধ চিঠি বিলিও
ওই সংগঠনের দাবি, আরও সুষ্ঠু পরিষেবার জন্যই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। গত কয়েক বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কারণে ব্যাঙ্কের উপরে চাপ বেড়েছে। কিন্তু, কর্মী নিয়োগ থেকে শুরু করে বেতন বৃদ্ধি— কোনওটাই হয়নি। ফলে গ্রহকদের যথাযথ পরিষেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাঙ্ককর্মীদের। ৯টি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্ক এই ধর্মঘটে সামিল হলেও, কয়েককটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং তাদের এটিএম খোলা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy