মূল্যবৃদ্ধি ও সুদের হার কমায় চাহিদা বৃদ্ধির আশা। কিন্তু তাতে জল ঢালছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অনিশ্চয়তা। যার জন্য দায়ী আমেরিকার চড়া শুল্ক বসানোর নীতি। আর্থিক প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি) এবং মূল্যায়নকারী ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চের মতো সংস্থার তাই আশঙ্কা, এর ধাক্কায় এ দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার কমতে পারে। বিশেষত এখনও যেহেতু বাজারে কেনাকাটা তেমন বাড়েনি। লগ্নিও ঢিমে। তাই বুধবার চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির পূর্বাভাস আগের থেকে কমিয়ে দিয়েছে তারা।
সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, ভারত-আমেরিকা অন্তর্বর্তী বাণিজ্য চুক্তি সারতে না পারলে আস্থা আরও কমবে। বাড়বে উদ্বেগ। যদিও এ দিনই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের এক নিবন্ধে বার্তা, সমস্ত ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা এবং শুল্ক নীতির অনিশ্চয়তার মধ্যেই জুন-জুলাইয়ে আর্থিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গিয়েছে ভারত। বৃষ্টি ভাল হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিও মাথা নামিয়েছে। কমছে খাদ্যপণ্যের দাম। ফলে চিন্তা নেই।
ভারতের কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজারে অবাধ প্রবেশ চাইছে আমেরিকা। নয়াদিল্লি রাজি নয়। আবার ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, গাড়িতে ভারতের শুল্ক ছাড়ের দাবি মানতে নারাজ ওয়াশিংটন। মনে করা হচ্ছে, মতের ফারাক রয়ে যাওয়ায় চলতি মাসের মধ্যে দু’পক্ষের চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ফলে ১ অগস্ট ভারতীয় পণ্যেও শুল্ক বসতে পারে। এডিবি-র দাবি, আমেরিকার চড়া শুল্ক এবং বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা রফতানি এবং লগ্নিতে ধাক্কা দিতে পারে। সঙ্গে রয়েছে শ্লথ দেশীয় চাহিদা। যে কারণে বৃদ্ধির পূর্বাভাস আগের ৬.৭% থেকে ছেঁটে ৬.৫ শতাংশে নামিয়েছে তারা। ইন্ডিয়া রেটিংসের অনুমান আরও কম, হলে ৬.৩% হারে। রিপোর্টে বলেছে, মূল্যবৃদ্ধির মাথা নামানো, সুদ ছাঁটাই, স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করলেও, শুল্ক-বাণিজ্য সংক্রান্ত অস্থিরতা এবং দুর্বল লগ্নির নেতিবাচক শক্তি এখন প্রবল। যা এড়ানো কঠিন।
এর আগে শীর্ষ ব্যাঙ্কও তা ৬.৭% থেকে ৬.৫ শতাংশে নামিয়েছে। কেন্দ্রের আর্থিক সমীক্ষায় অনুমান, ৬.৩% থেকে ৬.৮ শতাংশের মধ্যে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)