E-Paper

নজরে ‘ডার্ক প্যাটার্ন’, নেটবাজারকে হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী, ইঙ্গিত কড়া ব্যবস্থার

নেট বাজারে জামাকাপড় কেনার সময় দেখলেন, রাত ১২টার মধ্যে অর্ডার না করলে ৩০% ছাড় মিলবে না। কেনার পরে বুঝলেন, একই জামা আরও বেশি ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৫ ০৮:৩০
দামি টিকিট কাটার পরে হলে ঢুকে দেখা যায় সস্তার টিকিটের আসন খালি পড়ে।

দামি টিকিট কাটার পরে হলে ঢুকে দেখা যায় সস্তার টিকিটের আসন খালি পড়ে। —প্রতীকী চিত্র।

ওটিটি প্ল্যাটফর্মের গ্রাহক হয়েছেন। কিন্তু কোথা থেকে নাম কাটানো যায়, তা অ্যাপে খুঁজে পাওয়া কঠিন। অনলাইনে সিনেমার টিকিট কাটতে গিয়ে দেখলেন, সস্তার টিকিট নেই। সব বিক্রি হয়ে গিয়েছে। অথচ দামি টিকিট কাটার পরে হলে ঢুকে দেখা গেল, সস্তার টিকিটের আসন খালি পড়ে। নেট বাজারে জামাকাপড় কেনার সময় দেখলেন, রাত ১২টার মধ্যে অর্ডার না করলে ৩০% ছাড় মিলবে না। কেনার পরে বুঝলেন, একই জামা আরও বেশি ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে।

জেনেশুনে অনলাইনে ক্রেতাদের ঠকানোর এমন ১৩টি কৌশলকে ‘ডার্ক প্যাটার্ন’ চিহ্নিত করেছে ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রক। আজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী দেশের প্রথম সারির ই-কমার্স সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের পোর্টাল, অ্যাপে এ রকম ‘ডার্ক প্যাটার্ন’ খুঁজে সরকারকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিলেন। মন্ত্রীর বক্তব্য, ব্যবসায় এই ধরনের কারসাজি অনৈতিক। সরকার ক্রেতা সুরক্ষা আইনে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে প্রথমে নজরদারি চলবে। যাতে ই-কমার্স সংস্থাগুলির ব্যবসায় বাধা না আসে। কিন্তু তার সঙ্গে ক্রেতাদের স্বার্থ দেখাও দরকার।

সম্প্রতি ক্রেতা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ উব্‌র-কে নোটিস পাঠিয়েছে গাড়ি বুকিংয়ের আগেই চালকের ‘টিপ্‌স’ নিজের মতো কেটে নেওয়ায়। ওলা, র‌্যাপিডো-র ক্ষেত্রেও তদন্ত চলছে। কেন্দ্রের বক্তব্য, অনেক খাবার পৌঁছনোর অ্যাপও ক্রেতার অজান্তে ডেলিভারি বয়দের ‘টিপ্‌স’ কাটছে। সেবামূলক কাজের জন্য চাঁদা কাটা হচ্ছে বলেও দাবি করছে। ক্রেতারা বুঝতেই পারছেন না, তা জুড়ছে খাবারের বিলে। জোশী বলেন, ‘‘এই পথে বিপুল আয় করা হচ্ছে। ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে বলে দেওয়া হয়েছে, ‘ডার্ক প্যাটার্ন’ সংক্রান্ত নির্দেশিকা মানতে হবে। তাদের অ্যাপে যারা পণ্য বা পরিষেবার ব্যবসা করছে, তাদেরও মেনে চলতে হবে।’’

ক্রেতাসুরক্ষা সচিব নিধি খারে জানান, ২০২৩-এ ‘ডার্ক প্যাটার্ন’ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হয়। ১১টি সংস্থাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। একটি বিমান সংস্থা টিকিটের পরে বোর্ডিং পাস নেওয়ার সময় প্রতিটি আসনের জন্য আলাদা টাকা আদায় করছিল। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে পারেন ১৯১৫ নম্বরে ফোন করে। এ জন্য তিনটি অ্যাপও চালু হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Virtual Pralhad Joshi

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy