প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) প্রকল্পে ন্যূনতম মাসিক পেনশন ১০০০ টাকা। সদস্যদের দীর্ঘদিনের দাবি, এই অঙ্ক বাড়ানো হোক। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্র কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছে, আপাতত তেমন পরিকল্পনা সরকারের নেই। তাদের দাবি, পেনশন তহবিলে ঘাটতি রয়েছে। বাজেট বরাদ্দের মাধ্যমে তা পূরণ করা হয়। এই উত্তরের পরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে ট্রেড ইউনিয়নগুলি।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, অত্যাবশ্যক জিনিসের অগ্নিমূল্যে নিম্ন আয়ের মানুষ জেরবার। ভর্তুকির গ্যাস সিলিন্ডার কিনতেই খরচ হয় ন্যূনতম পেনশনের বেশিরভাগটা। প্রবীণদের চিকিৎসার খরচ কার্যত হাতের বাইরে। অথচ ২০১৪-এ ন্যূনতম পেনশন ১০০০ টাকা করার পর আর বাড়েনি।
তবে সরকারের যুক্তি মেনে ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধির দাবি থেকে সরে আসতে রাজি নয় ইউনিয়নগুলি। ইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ জানান, তাঁরা ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সংসদীয় কমিটি অনেক আগেই ন্যূনতম পেনশন ৩০০০ টাকা করার সুপারিশ করেছে। কেন্দ্র অটল পেনশন যোজনায় মাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন দিচ্ছে। সেই প্রকল্পে গ্রাহকেরা যে টাকা দেন, তার তুলনায় পিএফ-এর তহবিলে কর্মীদের দেওয়া টাকার অঙ্ক অনেক বেশি।’’ এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘‘পিএফেও বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়ে ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছি আমরা।’’
টিইউসিসি-র সাধারণ সম্পাদক এবং পিএফ-এর অছি পরিষদের সদস্য এস পি তিওয়ারি বলেন, ‘‘ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছি। হিসাব কষে দেখিয়েছি, পিএফ-এর তহবিল থেকেই মাসে ২৫০০ টাকা দেওয়া সম্ভব।’’ অছি পরিষদের প্রাক্তন সদস্য তথা এআইইউটিইউসি-র সহ-সভাপতি দিলীপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘পিএফ-এর মতো সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে কেন্দ্রীয় অনুদান বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)