Advertisement
E-Paper

অস্থির বিশ্বে স্বস্তি দিচ্ছে সেনসেক্স, সংস্থার লাভ

লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিকে বাগে আনতে সুদ বাড়িয়ে চলেছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এতে দাম বৃদ্ধির গতি কিছুটা কমানো গেলেও, আর্থিক বৃদ্ধি ঝিমিয়ে পড়বে।

অমিতাভ গুহ সরকার

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৩৫

প্রতীকী ছবি।

সাময়িক মন্দার হাত থেকে রেহাই পেল আমেরিকা। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত টানা দু’টি ত্রৈমাসিকে জিডিপি কমেছিল। জুলাই-সেপ্টেম্বরে ত্রৈমাসিকে তা বাড়ল ২.৬%। যদিও বিপদ কেটেছে বলা যাচ্ছে না। কারণ, জিনিসের চড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফলে সে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক বাড়িয়ে চলেছে সুদ। তা আরও এক দফা বাড়তে পারে ডিসেম্বরে। তখন আরও কমতে পারে চাহিদা। আর্থিক বৃদ্ধির পথে যা বড় বাধা। মন্দার আশঙ্কায় ভুগছে ইউরোপও। লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিকে বাগে আনতে সুদ বাড়িয়ে চলেছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এতে দাম বৃদ্ধির গতি কিছুটা কমানো গেলেও, আর্থিক বৃদ্ধি ঝিমিয়ে পড়বে। কমবে কর্মসংস্থান। ফলে মন্দাকে ঠেকিয়ে রাখা শক্ত হবে।

ইউরোপ, আমেরিকার মতো খারাপ নয় ঠিকই। তবে মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরাতে পারেনি ভারতও। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক তাকে ৬% সহনসীমার নীচে নামানোর যে লক্ষ্য বেঁধে এগোচ্ছিল, টানা ন’মাস চেষ্টার পরেও তা পূরণ হয়নি। উল্টে সেপ্টেম্বরে আরও বেড়ে ৭.৪১% ছুঁয়েছে। তাদের এ বার কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট দাখিল করে জানাতে হবে, কেন জিনিসের দামকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না ও আগামী দিনে তার জন্য কী পদক্ষেপ করা যেতে পারে। তার আগে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে ৩ নভেম্বর বিশেষ বৈঠকে বসবে শীর্ষ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটি। অক্টোবরেও মূল্যবৃদ্ধির হার মাথা নামালে ডিসেম্বরে হয়তো দেশে আবার সুদ বাড়ানো হবে। কতটা, সেটাই এখন চর্চার বিষয়।

এরই মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে জুলাই-সেপ্টেম্বরে সংস্থাগুলির আর্থিক ফল। এখনও পর্যন্ত তা মোটের উপরে ভাল। বিশ্ব জোড়া সঙ্কটে ভারতের কাছে আশার রুপোলি রেখার মতো। টানা সুদ বৃদ্ধি সত্ত্বেও দেশে বাড়ি, গাড়ি-সহ অনেক পণ্যেরই চাহিদা বেড়েছে। মারুতি-সুজ়ুকির আয় বেড়েছে ৯৩৯২ কোটি টাকা। চার গুণেরও বেশি বেড়ে নিট লাভ ২১১২ কোটি। ঋণের চাহিদা বৃদ্ধি, সুদ বাবদ আয় বৃদ্ধি a অনুৎপাদক সম্পদ কমায় ভাল ফল করেছে বহু ব্যাঙ্কও। ফলে শেয়ার বাজার চাঙ্গা। উৎসবের মরসুমে বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা এবং বিক্রি বৃদ্ধির প্রভাব পড়বে সংস্থাগুলির তৃতীয় ত্রৈমাসিকের ফলে।

নাগাড়ে শেয়ার বিক্রির পরে ফের ক্রেতা হিসেবে জুলাই এবং অগস্টে ভারতের বাজারে ফিরেছিল বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। কিন্তু বিশ্ব বাজারে পরস্থিতি ঘোরালো হতে থাকায় সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে আবার পুঁজি সরাতে শুরু করে। তবু সূচক তলিয়ে যায়নি। এর অন্যতম কারণ, দেশের ভেতরের লগ্নি। দেওয়ালির সন্ধ্যায় মুরত লেনদেনে সেনসেক্স ওঠে ৫২৫ পয়েন্ট। ১৪ বছরে মুরতের দিনে সর্বাধিক। শুক্রবার তা থেমেছে ৫৯,৯৬০ অঙ্কে। তবে অনিশ্চয়তার চোরা স্রোত বইছেই। ফলে সাবধানে পা ফেলতে হবে লগ্নিকারীদের।

(মতামত ব্যক্তিগত)

US GDP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy