মার্কিন শেয়ার বাজারে বড় পতন! হু-হু করে নামল স্টকের সূচক। ফলে মাত্র চার দিনে ওয়াল স্ট্রিট থেকে উবে গিয়েছে এক লক্ষ কোটি ডলার! ভারতীয় মুদ্রায় টাকার অঙ্কটা প্রায় ৮৭ লক্ষ কোটি বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে আমেরিকার লগ্নিকারীদের মাথায় পড়েছে হাত। শেয়ারের সূচক আরও নামার পূর্বাভাস দিয়েছে সেখানকার একাধিক ব্রোকারেজ ফার্ম।
বুধবার, ২০ অগস্ট ওয়াল স্ট্রিটের বাজার বন্ধ হলে দেখা যায় এসঅ্যান্ডপি-৫০০ নেমেছে ০.২৪ শতাংশ। দিনের শেষে ৬,৩৯৫.৭৮ পয়েন্টে থামে সংশ্লিষ্ট শেয়ার সূচক। এই বাজারে সর্বাধিক লোকসানের মুখ দেখেছে যাবতীয় মার্কিন টেক জায়ান্ট সংস্থা। সেই তালিকায় প্রথমেই নাম আসবে এনভিডিয়া এবং প্যালানটার টেকনোলজ়িসের।
এসঅ্যান্ডপি-৫০০-এর পাশাপাশি বুধবার ন্যাসড্যাক-১০০ সূচকও ছিল নিম্নমুখী। ০.৬৭ শতাংশ পড়ে এটি চলে আসে ২১,১৭২.৮৬ পয়েন্টে। তবে ব্যতিক্রম দেখিয়েছে ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ়। এতে ০.০৪ শতাংশের উত্থান দেখা গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট শেয়ার সূচকটি দিনের শেষে ৪৪,৯৩৮.৩১ পয়েন্টে গিয়ে পৌঁছোয়।
মার্কিন ব্রোকারেজ় ফার্মগুলির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, টেক জায়ান্ট সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা প্যালানটার টেকনোলজ়িসের। মাত্র এক সপ্তাহে এই সংস্থার শেয়ারের দাম ২০ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। অন্য দিকে এনভিডিয়ার স্টক সস্তা হয়েছে পাঁচ শতাংশ। এ ছাড়া অ্যাপ্ল, অ্যামাজ়ন, গুগ্ল, মেটা এবং ইন্টেলের মতো টেক জায়ান্টগুলির শেয়ারের দর এক থেকে দু’শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিটের রক্তাক্ত হওয়ার নেপথ্যে একাধিক কারণের কথা বলেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের সিংহভাগের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপজ্জনক শুল্কনীতি এবং ক্রমাগত ভারত বিরোধিতা আমেরিকার সিলিকন ভ্যালির সংস্থাগুলির উপরে প্রভাব ফেলেছে। তাঁর শুল্কবাণ থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যেই বিকল্প বাজারের খোঁজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। এ দেশের টেক জায়ান্ট সংস্থাগুলি অচীরেই রাশিয়ার বাজার পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্য দিকে, মার্কিন বাজারে পতন হলেও চাঙ্গা রয়েছে মুম্বইয়ের দালাল স্ট্রিট। ২১ অগস্ট, বৃহস্পতিবার বেলা ১২ নাগাদ ২৩০ পয়েন্টের বেশি বেড়ে ৮২ হাজারে পৌঁছোয় সেনসেক্স। নিফটি-৫০তে দেখা গিয়েছে ০.২২ শতাংশের বৃদ্ধি। ফলে ২৫ হাজার ১০৫ পয়েন্টে পৌঁছোয় ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের ওই শেয়ার সূচক।