জিএসটি চালুর পরে ছ’বছর পার হয়েছে। কর সংগ্রহ বাড়লেও আধিকারিকদের মাথাব্যথার প্রধান কারণ প্রতারণা। পরোক্ষ কর পর্ষদের (সিবিআইসি) প্রধান বিবেক জোহরি জানালেন, সন্দেহজনক সংস্থাগুলিকে নজরবন্দি করতে এ বার বায়োমেট্রিক (চোখের মণি ও আঙুলের ছাপ পরীক্ষা) পদ্ধতিতে পরিচয় যাচাইয়ের ব্যবস্থা চালু করতে চলেছেন তাঁরা। নথিভুক্ত ঠিকানার জিয়ো-ট্যাগিং চালুর ব্যাপারেও কাজ শুরু করেছে সিবিআইসি।
আধিকারিকদের বক্তব্য, ২০১৭-র ১ জুলাই চালুর পরে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা প্রতারণার মুখে পড়েছে জিএসটি ব্যবস্থা। শুধু গত অর্থবর্ষেই ১ লক্ষ কোটি। মূলত ভুয়ো বিল দিয়ে কাঁচামালের খরচ বাবদ আগে মেটানো কর (আইটিসি) ফেরত নিচ্ছে প্রতারকেরা। অনেক ক্ষেত্রে ভুয়ো সংস্থা গড়েও এই কাজ করা হচ্ছে। প্রতারণা রোখা গেলে কর সংগ্রহ আরও বাড়বে, দাবি আধিকারিকদের। জোহরি জানান, অনেক সময়ে অন্যের প্যান ও আধার ব্যবহার করে ভুয়ো সংস্থা জিএসটি নথিভুক্তির আবেদন জানাচ্ছে। তাই আগামী দিনে আবেদনকারী সংস্থার প্রতিনিধি, ডিরেক্টর কিংবা পার্টনারদের বায়োমেট্রিক যাচাই হবে। কর আধিকারিকেরা নথিভুক্ত সংস্থাকেও এই নির্দেশ দিতে পারেন। এ ছাড়া, জিএসটি নথিভুক্তির ঠিকানা পরীক্ষায় জিয়ো-ট্যাগিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যা বাধ্যতামূলক হবে সমস্ত সংস্থার ক্ষেত্রে। আপাতত দু’টি রাজ্যে বায়োমেট্রিক এবং জিয়ো-ট্যাগিং পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়েছে। সারা দেশেই তা চালু হবে।
জোহরি বলেন, জিএসটিকে আরও পোক্ত করা হচ্ছে। আগে ওটিপি মারফত যাচাই হত। এ বার বায়োমেট্রিকও চালু হবে। সন্দেহজনক সংস্থার প্রতিনিধিদের সেই নির্দেশ দেওয়া হবে। সিবিআইসি প্রধান আরও জানান, ভুয়ো নথিভুক্তি চিহ্নিত করতে দু’মাসের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২,৫০০টি এমন সংস্থা চিহ্নিত হয়েছে। সেগুলির মাধ্যমে বেআইনি ভাবে আইটিসি দাবি করা হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে রাজকোষের। সবচেয়ে বেশি এই সংস্থা রয়েছে দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থানে। গুজরাত, গ্রেটার নয়ডা, কলকাতা, অসম, তেলঙ্গানাও পিছিয়ে নেই।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)