ফাইল চিত্র।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়েই দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিদ্যুৎ দফতর।
রাজ্যের ধারণা, গত দু’বছরের তুলনায় এ বার পুজোর সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা বেশ খানিকটা বাড়বে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন বিদ্যুৎ সংস্থা (রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা, ডিভিসি এবং সিইএসসি), কোল ইন্ডিয়া, রেল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি পর্যালোচনা করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং তাঁর দফতরের কর্তারা। প্রাথমিক হিসেবের প্রেক্ষিতে মন্ত্রীর দাবি, বাড়তি চাহিদা মেটাতে সমস্যা হবে না। পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত বিদ্যুৎ ভবনে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু হবে। বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি রাজ্যে আর্থিক কর্মকাণ্ডের ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত বলেও দাবি তাঁদের।
গত তিন বছরের রেকর্ড খতিয়ে দেখে এ দিনের বৈঠকে পুজোতে বিদ্যুৎ-পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতির রূপরেখা তৈরি করেছে রাজ্য। অরূপবাবু জানান, এখন রুটিন কাজ চললেও বৃষ্টির জন্য কোথাও কোথাও সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টি কমলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সাব স্টেশন-সহ সব পরিকাঠামোর প্রয়োজনীয় মেরামতি শেষ হবে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। লক্ষ্য, পুজোতে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক রাখা। প্রয়োজনে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সিইএসসি এলাকায় ১৭০টি মোবাইল ভ্যান আর রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ১৪৮৫টি হাই-টেনশন মোবাইল ভ্যান ও ৮৩৪টি লো-টেনশন মোবাইল ভ্যান থাকবে।
রাজ্যের অনুমান, এ বছর ষষ্ঠীর দিন প্রায় ৮৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা তৈরির সম্ভাবনা। ২০১৯ এবং ২০২০ সালে তা ছিল যথাক্রমে প্রায় ৭৮০০ ও ৭২০০ মেগাওয়াট। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, গত বছর করোনার জেরে সার্বিক ভাবে চাহিদা ধাক্কা খেয়েছিল। তবে অরূপবাবু জানান, এ বার পুজো কিছু বেড়েছে। তিনি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সিএমডি শান্তনু বসুর দাবি, এমনিতে প্রতি বছর নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ কিছুটা করে বাড়ে। তবে বর্তমানে বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা রাজ্যে স্বাভাবিক কাজ-কারবার শুরুর ইঙ্গিত।
অতীতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কখনও কখনও কয়লা জোগান সমস্যা তৈরি করেছে। রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের সিএমডি পি বি সেলিমের অবশ্য দাবি, সংস্থার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার চাহিদার ৬০% জোগান দেয় তাদেরই নিজস্ব পাঁচটি খনি। ফলে সমস্যা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy