E-Paper

রাজ্যে খুচরো বাজারের নীতি

সরকারি সূত্রের দাবি, বৈঠকে সব প্রতিনিধির মতামত শোনা হয়েছে। তাঁদের তরফেও নানা প্রস্তাব এসেছে। পুজোর পরে ফের বৈঠকে বসবেন প্রশাসনিক শীর্ষ-কর্তারা। পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:২৮

—প্রতীকী চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে খুচরো বাজার সংক্রান্ত কোনও নীতি (রিটেল পলিসি) নেই। এ বার তা তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনের (বিজিবিএস) আগে এই নীতি আনতে চায় তারা। তাই প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নীতিটি কার্যকর হওয়ার কথা ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) দফতরের আওতায়। কারণ, খুচরো ও পাইকারি লেনদেন তাদের অধীনে। শুক্রবার নবান্নে এমএসএমই, শ্রম, তথ্য ও সংস্কৃতি, কারিগরি শিক্ষা, ক্রেতা সুরক্ষা, খাদ্য, অগ্নি নির্বাপণ, পুর ও নগরোন্নয়ন-সহ কিছু দফতরের কর্তাদের নিয়ে প্রাথমিক বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। ছিলেন বিভিন্ন বণিকসভা এবং ব্যবসায়ীদের পূর্ব-ভারতীয় সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরাও।

সরকারি সূত্রের দাবি, বৈঠকে সব প্রতিনিধির মতামত শোনা হয়েছে। তাঁদের তরফেও নানা প্রস্তাব এসেছে। পুজোর পরে ফের বৈঠকে বসবেন প্রশাসনিক শীর্ষ-কর্তারা। পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এক কর্তার কথায়, ‘‘এখনই বলা সম্ভব নয় নীতির আওতায় কোন বিষয়গুলিকে আনা হবে। পুজোর পরে সিদ্ধান্ত হবে। চেষ্টা করা হচ্ছে বিজিবিএস-এর আগেই রিটেল নীতি কার্যকর করার।’’ ফেব্রুয়ারির শুরুতে হবে বিজিবিএস।

খুচরো ব্যবসার পরিসর ক্রমশ বাড়ছে। পাড়ার ছোট-মাঝারি দোকান থেকে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বা শপিং মলের ছড়াছড়ি চারপাশে। তার হাত ধরে কর্মসংস্থানও হচ্ছে। একাংশের ধারণা, খুচরো বিক্রির এই ব্যবস্থাকেই নীতির আওতায় আনতে চাইছে নবান্ন। এই ক্ষেত্রের বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি কর্মীদের কাজের সময়, সাপ্তাহিক কাজের দিন ইত্যাদি নিয়ে সিদ্ধান্তের অবকাশ থাকবে। কর্তাদের একাংশের দাবি, স্পেন ও দুবাই সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেখানকার একাধিক সংস্থার লগ্নি নিয়ে কথা হয়েছিল। যাঁরা মূলত খুচরো বিক্রেতা। কিন্তু লগ্নি টানতে সরকারের নিজস্ব নীতি থাকা জরুরি।

অন্য দিকে, রাজ্যে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট টাস্ক ফোর্সকে সঙ্গে নিয়ে এ দিনই ফের বৈঠক করেন প্রশাসনিক কর্তারা। উৎসবের মরসুমে বিভিন্ন বাজারে অসাধু কার্যকলাপের জেরে পণ্যের দাম যাতে নাগালের বাইরে না যায়, তাতে জোর দেওয়া হয়েছে। হিমঘর থেকে আলুর জোগান নিশ্চিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়। ৫৮টি ক্রয়কেন্দ্র থেকে সরাসরি চাষিদের থেকে আনাজ কিনে তা সুফল বাংলার ৬৪২টি স্টলের মাধ্যমে সুলভে বিক্রি করছে রাজ্য। এনফোর্সমেন্ট শাখা, টাস্ক ফোর্সকেও নিয়মিত বাজার পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Retail Market West Bengal government Retailers Retail Business retail

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy