প্রতীকী ছবি।
পাটের মতো কৃষিপণ্যের দামের ঊর্ধ্বসীমা বাঁধায় নীতিগত ভাবে বিরোধী রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাট উৎপাদক রাজ্যগুলিতে কাঁচা পাটের সমস্যা নিয়ে সোমবার বস্ত্র মন্ত্রকের ডাকা বৈঠকে এ কথা জানান রাজ্যের শ্রমসচিব বরুণ রায়। চটের বস্তার দাম বাড়াতে ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার দাবি তোলেন চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-র চেয়ারম্যান রাঘবেন্দ্র গুপ্ত।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর কাঁচা পাটের সর্বোচ্চ দাম কুইন্টালে ৬৫০০ টাকায় বেঁধে দিয়েছিলেন জুট কমিশনার। চটকল মালিকদের অভিযোগ, সেই নির্দেশ জারির কিছু দিন পর থেকেই বাজারে ওই দামে কাঁচা পাট পাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। কুইন্টালে ৭০০০-৭২০০ টাকার নীচে তা মিলছে না। অথচ কেন্দ্র বস্তার দাম দিচ্ছে ৬৫০০ টাকা দাম ধরে। এতে লোকসানে চলায় ১৫টি জুটমিল বন্ধ হয়েছে, কয়েক হাজার কর্মী কাজ হারিয়েছেন।
বৈঠকে বরুণবাবুর দাবি, এখনও ১০টি মিল বন্ধ। পাটের কৃত্রিম অভাব তৈরি হয়েছে। যদিও এ দিন ওই দাম বেঁধে দেওয়ার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তী। বস্ত্রসচিব জানান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এ দিকে বৈঠকে আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। তবে তিনি বলেন, তাঁকে ডাকা হলে ভাল হত। পাশাপাশি কাঁচা পাট কিনে তা চটকলগুলিতে সরবরাহ করার ব্যাপারে জুট কর্পোরেশনকে কার্যকরী ভূমিকা নেওয়ার দাবিও জানান অর্জুন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কাঁচা পাটের সমস্যা মেটানোর জন্য প্রয়োজনে বড় আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছিলেন এই সাংসদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy