Advertisement
E-Paper

জিএসটি-র জন্য তৈরি নই, বলছে রাজ্য

রাজ্য এবং বিশেষজ্ঞদের অবশ্য ইঙ্গিত, জমি হয়তো তৈরি। কিন্তু এক মাসের মধ্যে জিএসটি চালুর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি এখনও। এ দিন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, ‘‘১ জুলাই থেকে জিএসটি চালু করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৭ ০৩:৫৮
অমিত মিত্র।

অমিত মিত্র।

জিএসটির খাতায় নাম লেখানোর পরিসংখ্যানে দেশে প্রথম সারিতে রাজ্য। কিন্তু অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র স্পষ্ট জানাচ্ছেন, ১ জুলাই থেকে ওই কর চালুর জন্য এখনও তৈরি নন তাঁরা। তা সত্ত্বেও কেন্দ্র সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে, সেটি হবে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া। নির্দিষ্ট সময়ে মসৃণ ভাবে জিএসটি চালু করতে এখনও বহু পথ হাঁটা বাকি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরাও।

বুধবার সিআইআই আয়োজিত এক আলোচনাসভায় কলকাতা কমিশনারেটে পরিষেবা করের প্রিন্সিপাল কমিশনার বিজয় কুমার বলেন, পরিষেবা করের ক্ষেত্রে রাজ্যে ৯১% সংস্থা ও ডিলার জিএসটিতে নথিভুক্ত হয়েছে। দেশে সবচেয়ে বেশি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, ভ্যাট ও উৎপাদন শুল্কেও ওই হার প্রায় ৮৬% ও ৮৪%। পরে কুমারের দাবি, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে জিএসটি চালুর ক্ষেত্র অনেকটা তৈরি।’’

রাজ্য এবং বিশেষজ্ঞদের অবশ্য ইঙ্গিত, জমি হয়তো তৈরি। কিন্তু এক মাসের মধ্যে জিএসটি চালুর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি এখনও। এ দিন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, ‘‘১ জুলাই থেকে জিএসটি চালু করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হবে। সরকার, ব্যবসায়ী সকলেই সমস্যায় পড়বেন।’’

আরও পড়ুন: বিহারের পথেই অসম, গ্রেস কমতেই ধস ম্যাট্রিকে পাশের হারে

অর্থ দফতরের কর্তারাও বলছেন, জিএসটি-র তথ্যপ্রযুক্তির যে মেরুদণ্ড, সেই জিএসটি-নেটওয়ার্ক এখনও পুরো তৈরি নয়। বিধি এবং ফর্ম তৈরি সম্পূর্ণ হয়নি। ছোট শিল্প তো বটেই, অনেক বড় শিল্পও এখনও পুরোদস্তুর তৈরি নয়। তা ছাড়া, সাইবার হামলার সামনে জিএসটি নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা পুরোপুরি পোক্ত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। ওই নেটওয়ার্কের সিইও প্রকাশ কুমারের অবশ্য দাবি, তা একেবারে সুরক্ষিত।

জিএসটি বিশেষজ্ঞ তথা বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের পরোক্ষ কর কমিটির চেয়ারম্যান তিমিরবরণ চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘সিংহভাগ ছোট-মাঝারি সংস্থা প্রস্তুত নয়।’’ তাঁর যুক্তি, জিএসটি চালুর পথে অন্যতম বাধা এখনও এই সংক্রান্ত বিধি তৈরি না হওয়া। জিএসটি কার্যকর করা তথ্যপ্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। বিধি তৈরি না-হওয়া পর্যন্ত সেই তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামো তৈরি করা শক্ত। তাঁর মতে, ‘‘সমস্ত বিল পাশের পরে ওই পরিকাঠামো তৈরিতে অন্তত মাস চারেক সময় দেওয়া জরুরি।’’ তা ছাড়া, গ্রামে সার্ভার বসে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে, ব্যবসায়ীরা বিপদে পড়বেন বলেও উদ্বিগ্ন তিনি।

উপদেষ্টা সংস্থা অ্যাকুই’ল-এর এগ্‌জিকিউটিভ ডিরেক্টর তথা পরোক্ষ করের প্রধান রাজর্ষি দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘ঠিক মতো নথিভুক্তি জিএসটি চালুর পক্ষে ভাল লক্ষণ। কিন্তু শেষ কথা নয়। তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামো, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি— এগুলিও গুরুত্বপূর্ণ।’’

GST west bengal পশ্চিমবঙ্গ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy